নিউ জিল্যান্ডের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান রস টেইলর তার মায়ের দেশ সামোয়ার হয়ে খেলতে শুরু করেছেন। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এশিয়া ও ইস্ট এশিয়া প্যাসিফিক (ইএপি) অঞ্চলের বাছাইপর্বের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে তার অভিষেক হয়েছিল বুধবার। অভিষেক ম্যাচে তারা হেরে গিয়েছিল ওমানের কাছে। তবে বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) রাতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে সামোয়া। ৬ উইকেটে হারিয়েছে পাপুয়া নিউ গিনিকে।

ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাপুয়া নিউ গিনি আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান করে। জবাবে ১৮.

৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান করে জয় নিশ্চিত করে সামোয়া।

আরো পড়ুন:

টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

অভিষেক ঝড়ে খুলনা ফাইনালে

ব্যাট হাতে সামোয়াকে জেতান সিয়ান সোলিয়া। তিনি ৪৫ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া বেঞ্জামিন মাইলাটা ১৯, দারিউস ভিজের ১৪ ও ক্যালেব জাসমাত অপরাজিত ১১ রান করেন। রস টেইলর ব্যাট করতে নামলেও ১ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন।

তার আগে বল হাতে সামোয়ার সলোমান নাশ ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। দারিউস ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ২টি উইকেট। তাদের বোলিং তোপে ১১৭ রানে অলআউট হয় পাপুয়া নিউ গিনি। ব্যাট হাতে নিউ গিনির অধিনায়ক আসাদ ভালা ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮, গুদি টোকা ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৯, সেসে বাউ ১৩ ও বইয়ো রায় করেন ১১ রান।

এই জয়ে ২ ম্যাচের ১টি জিতে ২ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে সমোয়া। তাদের সুপার সিক্সে যাওয়া সম্ভাবনা টিকে আছে। ওমান এক ম্যাচ খেলে জিতে আছে টেবিলের শীর্ষে। আজ রাতে শেষ ম্যাচে তারা পাপুয়া নিউ গিনির মুখোমুখি হবে।

বাছাইপর্বে সুপার সিক্সের পয়েন্ট টেবিলের সেরা তিনটি দল সুযোগ পাবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

গোলাম রাব্বানীর ডাকসুর জিএস পদ অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ

নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জিএস নির্বাচিত হওয়া অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া সে সময় যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভর্তি না হওয়ায় এমফিল প্রোগ্রামে তাঁর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে জিএস প্রার্থী রাশেদ খান এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. সানাউল্লাহ হক গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন করেন। তাতে অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সব সদস্যের ডাকসুর সদস্যপদ বাতিলপূর্বক ভুক্তভোগী প্রার্থীদের মূল্যায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে ডাকসু ভবনে সংঘটিত হামলার ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের বিচারের দাবি জানানো হয়।

একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে বলা হয়, ২০১৯ সালে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে কিছু প্রার্থী বা প্যানেলের পক্ষ থেকে ভোটদান, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, ভোট কারচুপি করা, কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করা, ভোটকেন্দ্র দখল করা, ব্যালট পেপারে অবৈধভাবে সিল মারা, ভোট দিতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা, অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাসহ নানা কারচুপি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।

এতে আরও বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণ ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাক্ষাৎকার থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে কমিটির কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে, অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের গোলাম রাব্বানী, মেহজাবিন হক ও ফাহমিদা তাসনিমের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তিতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। তাই তাঁদের ভর্তি আইনের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ বাতিল বলে গণ্য হবে। এমন অবস্থায় বৈধ ছাত্রত্ব না থাকায় গত ২০১৯ সালের ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা বৈধ ছিল না। সুতরাং এই কমিটি গোলাম রাব্বানীর জিএস নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিকে অবৈধ ঘোষণার জন্য জোর সুপারিশ করে।

২০১৯ সালে জিএস পদে গোলাম রাব্বানী ১০ হাজার ৪৮৪ ভোট পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী রাশেদ খান। তিনি ৬ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। গোলাম রাব্বানীর জিএস পদ বাতিলের পর রাশেদ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তিনি বর্তমানে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।

রাশেদ খান লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানীর এমফিলের ছাত্রত্ব চূড়ান্তভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত। ছাত্রত্ব বাতিল হওয়ায় ঢাবি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী তার ডাকসু পদও অবৈধ। ২০১৯ সাল থেকে আমার সংগ্রাম চালু ছিল। ২০২৫ সালে এসে ন্যায়বিচার পেলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ