নতুন দিনের বার্তা দিয়ে ব্রাজিলকে ৫–০ গোলে জেতালেন ভিনি–রদ্রিগো–এস্তেভাওরা
Published: 10th, October 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়া ০ : ৫ ব্রাজিল
ব্রাজিলের ফুটবলে কি তবে নতুন দিনের সূর্যোদয় হলো? একটা মাত্র ম্যাচ দেখে এমন মন্তব্য করা কঠিন। তবে আজ ব্রাজিল যেভাবে খেলল, তাতে মনে হলো, যেন বহুদিনের খরার পর হঠাৎ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল। এই ব্রাজিলের অপেক্ষাতেই তো ছিল সবাই! কৌশল, নান্দনিকতা আর দারুণ ফলের এ যেন এক অদ্ভুত, মন-ভোলানো সমন্বয়।
গত সেপ্টেম্বরে বলিভিয়ার বিপক্ষে হারে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ করেছিল ব্রাজিল। সেই হারের পর ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তাদের দুর্দশা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল অনেক। কিন্তু মনে হচ্ছে, দুঃসময়টা খুব দ্রুতই পেছনে ফেলে এসেছে তারা। অন্তত আজ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে সে রকমই ইঙ্গিত মিলেছে।
ছন্দ, গতি আর নান্দনিকতার মিশেলে সিউলে শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। রদ্রিগো ও এস্তেভাও করেছেন জোড়া গোল। গোল পেয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও। তবে শুধু গোলের হিসাবেই নয়, ম্যাচজুড়ে সেলেসাওদের ফুটবল ছিল চোখ ধাঁধানো।
আরও পড়ুনব্রাজিল কেন পেলে–রোনালদোদের মতো তারকা পাচ্ছে না২৮ আগস্ট ২০২৫সিউল ওয়ার্ল্ডকাপ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে ব্রাজিল। ডিফেন্স থেকে আক্রমণ গড়া, মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ—সবই ছিল গোছানো। খেলোয়াড়দের বোঝাপড়া আর পাসিং ছিল দেখার মতো। শুরুতে কয়েকবার ব্যর্থ হলেও এগিয়ে যেতে সময় লেগেছে মাত্র ১৩ মিনিট।
দলীয় আক্রমণে রদ্রিগোর পাস থেকে বল পান ব্রুনো গিমারেস। নিউক্যাসল মিডফিল্ডারের ডিফেন্সচেরা পাস ধরে নিঁখুত ফিনিশিংয়ে গোল করেন চেলসি তারকা এস্তেভাও। গতি, নিখুঁত পাসিং আর ফিনিশিং—সব মিলিয়ে ব্রাজিলীয় ফুটবলের এক নিখাদ উদাহরণ সেই গোল।
গোল ও সহায়তা দুটোই করেছেন ভিনিসিয়ুস.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লকার থেকে উদ্ধার করা সোনা শেখ হাসিনার হলফনামায় দেখানো হয়েছিল কি
অগ্রণী ব্যাংকে দুটি লকার থেকে ৮৩২ ভরি সোনা পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে একটি লকার জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের নামে। অন্যটি শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার নামে।
দুদক আজ বুধবার বলেছে, অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদের নামে থাকা একটি লকারে ৪২২ ভরির কিছু বেশি সোনা পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নামে থাকা একটি লকারে পাওয়া গেছে ৪১০ ভরি সোনা।
পূবালী ব্যাংকেও শেখ হাসিনার নামে একটি লকার থাকার কথা জানিয়েছে দুদক। সেখানে পাওয়া গেছে একটি ছোট চটের ব্যাগ। সেটি খালি ছিল।
দুদক বলছে, লকারের রক্ষিত চিরকুট ও বর্ণনা অনুযায়ী স্বর্ণালংকারগুলো শেখ হাসিনা, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ রেহানা ও তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বলে ধারণা করা যাচ্ছে। সংস্থাটি সোনার মালিকানা সুনির্দিষ্ট করে আইনগত দায় নিরূপণ করবে বলে জানিয়েছে।
প্রশ্ন হলো, এই সোনা কি শেখ হাসিনার হলফনামায় দেখানো হয়েছিল?
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে শেখ হাসিনা হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন গোপালগঞ্জ–৩ আসন থেকে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে শেখ হাসিনার হলফনামাটি এখনো আছে। তাতে দেখা যায়, তিনি নিজের নামে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন। সোনা ও মূল্যবান ধাতুর অর্জনকালীন মূল্য দেখিয়েছিলেন ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সেখানে সোনার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি।
শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময়ও হলফনামায় সোনা ও মূল্যবান ধাতুর মূল্য বাবদ ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন।
আয়, সম্পদসহ আট ধরনের তথ্য হলফনামায় দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয় ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকেই।
দেখা যাচ্ছে, ২০০৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের হলফনামায় শেখ হাসিনার সম্পদের মধ্যে সোনা ও মূল্যবান ধাতুর মূল্যে কোনো হেরফের নেই।
রাজধানীর মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা লকারে স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি সোনার নৌকা ও হরিণ পাওয়া গেছে