এক সপ্তাহ আগে কিনেছিলেন মোটরসাইকেল, আজ দুর্ঘটনায় হারালেন প্রাণ
Published: 12th, October 2025 GMT
এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন আল শারাফত খান (১৮)। পরীক্ষার পর লাখ টাকা দিয়ে তাঁকে একটি আইফোন কিনে দেন বাবা। সেই ফোন বিক্রি করে সপ্তাহখানেক আগে একটি পুরোনো মোটরসাইকেল কেনেন শারাফত। আজ সেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামের অদূরে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শারাফত ওই গ্রামের প্রবাসী আলাল মিয়ার ছেলে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনায় তাঁর চাচাতো ভাই নাদিম খান (২২) গুরুতর আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও নিহত শারাফতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে মাকে মোটরসাইকেলে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে পৌঁছে দিয়ে কুট্টাপাড়া বড় মসজিদের কাছে একটি দোকানে মোটরসাইকেলটি মেরামত করেন। মেরামত ঠিকঠাক হয়েছে কি না, যাচাই করতে চাচাতো ভাই নাদিমকে নিয়ে তিনি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মোটরসাইকেলটি চালাতে যান। বেলা তিনটার দিকে তাঁরা মোটরসাইকেলটি নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া মোড় থেকে সামান্য দূরে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা অতিক্রম করেন। এ সময় একটি গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শারাফত। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে নাদিমকে জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন।
নিহত শারাফতের বাড়ি কুট্টাপাড়া মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, মা-বাবাসহ স্বজনেরা আহাজারি করছেন। তাঁর মা বিলাপ করতে করতে বারবার বলছিলেন, ‘মোটরসাইকেলটি আমার ছেলের জন্য কাল হয়েছে।’
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের লোকজন লাশ উদ্ধার করে তাঁদের জিম্মায় নিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ময়নাতদন্ত করাবেন না। মোটরসাইকেলটির সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়া গাড়িটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাঁরা চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় সড়ক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এক সপ্তাহ আগে কিনেছিলেন মোটরসাইকেল, আজ দুর্ঘটনায় হারালেন প্রাণ
এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন আল শারাফত খান (১৮)। পরীক্ষার পর লাখ টাকা দিয়ে তাঁকে একটি আইফোন কিনে দেন বাবা। সেই ফোন বিক্রি করে সপ্তাহখানেক আগে একটি পুরোনো মোটরসাইকেল কেনেন শারাফত। আজ সেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামের অদূরে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শারাফত ওই গ্রামের প্রবাসী আলাল মিয়ার ছেলে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনায় তাঁর চাচাতো ভাই নাদিম খান (২২) গুরুতর আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও নিহত শারাফতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে মাকে মোটরসাইকেলে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে পৌঁছে দিয়ে কুট্টাপাড়া বড় মসজিদের কাছে একটি দোকানে মোটরসাইকেলটি মেরামত করেন। মেরামত ঠিকঠাক হয়েছে কি না, যাচাই করতে চাচাতো ভাই নাদিমকে নিয়ে তিনি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মোটরসাইকেলটি চালাতে যান। বেলা তিনটার দিকে তাঁরা মোটরসাইকেলটি নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া মোড় থেকে সামান্য দূরে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা অতিক্রম করেন। এ সময় একটি গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শারাফত। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে নাদিমকে জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন।
নিহত শারাফতের বাড়ি কুট্টাপাড়া মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, মা-বাবাসহ স্বজনেরা আহাজারি করছেন। তাঁর মা বিলাপ করতে করতে বারবার বলছিলেন, ‘মোটরসাইকেলটি আমার ছেলের জন্য কাল হয়েছে।’
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের লোকজন লাশ উদ্ধার করে তাঁদের জিম্মায় নিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ময়নাতদন্ত করাবেন না। মোটরসাইকেলটির সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়া গাড়িটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাঁরা চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় সড়ক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।