গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে তৃতীয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ রোববার এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন।

জামায়াত ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন এবং ১৫ অক্টোবর দেশের সব জেলা শহরে মানববন্ধন। এর মধ্যে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে মৎস্য ভবন হয়ে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মানববন্ধন হবে।

বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াত ঘোষিত পাঁচ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে গণসংযোগ কর্মসূচি, ১০ অক্টোবর ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসকদের কাছে স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

জামায়াতের কর্মসূচিতে জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ছিল দাবি করে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সরকারের উচিত জনগণের মতামতকে শ্রদ্ধা করে অবিলম্বে জামায়াতের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম করা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশের জনগণ রাজপথ ছাড়বে না।

জামায়াতের পাঁচ দফা দাবি হলো—গণভোটের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট দেওয়া; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

‘যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, বসবে, গ্রেপ্তার করবে, মামলা করবে। পুলিশকে আপনার পিছনে পিছনে হাঁটতে হবে। থানার ওসি সকালে আপনার অনুষ্ঠান জেনে নিয়ে আপনাকে প্রটোকল দেবে।’ জামায়াতে ইসলামীর নেতা শাহজাহান চৌধুরীর দেওয়া এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে, এ ধরনের মন্তব্য একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের উসকানি দেয়।

আজ সোমবার রাতে এক প্রতিবাদলিপিতে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বক্তব্যটি ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক ও পুলিশের জন্য হেয়প্রতিপন্নকারী’।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী গত শনিবার চট্টগ্রামে একটি সমাবেশে প্রশাসন নিয়ে ওই বক্তব্য দেন। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা–সমালোচনা চলছে।

পুলিশের বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত হয়। গত ১৭ বছরে পুলিশের কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী সদস্যকে ব্যবহার করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হয়েছে, যা জনগণের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করেছে। তবে ৫ আগস্টের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর পুলিশ আগের চেয়ে আরও নিরপেক্ষ ও পেশাদারভাবে দায়িত্ব পালন করছে।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, আসন্ন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ কোনো দল বা মতের পক্ষে অবস্থান না নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দিন শেষ—এখন পুলিশ আইন, বিধি ও জনকল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতে বিশ্বাস করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঠাকুরগাঁওয়ে বাউলদের মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে হামলা, আহত ২
  • ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জনগণের টাকা লুট হয়েছে: সাইদ আহমেদ
  • স্টিমরোলার নির্যাতনেও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি: মির্জা ফখরুল
  • ‘প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে’: জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
  • সংবাদমাধ্যম কখন নিজেকে প্রশ্ন করার সাহস রাখে
  • ভোলার নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন
  • মানিকগঞ্জে বাউলদের ওপর হামলায় মামলা, আসামি ২০০
  • জামায়াত নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের
  • সরকারি চাকরির নিয়োগে অস্থিরতা: চার মাসে চাকরিপ্রত্যাশীদের যত আন্দোলন
  • খুলনায় মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি বন্ধ, সিন্ডিকেট রুখতে ঐক্যবদ্ধ