সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ২০ পিস ইয়াবা ও ৫ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে।

রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে ও শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় ইমরান নামে অপর এক মাদক কারবারি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার চরআত্রা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সুজন (২৭) এবং কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার গাছতলা ঘাট গ্রামের মৃত ছন্দু মিয়ার ছেলে ফরিদ (৫৫)। পলাতক ইমরান মিজমিজি পাগলাবাড়ী এলাকার আঃ রব কুট্টির ছেলে বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আদমজী ইপিজেড সংলগ্ন প্রধান সড়কে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা পালানোর চেষ্টা করলে, ধাওয়া করে সুজন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় তার সহযোগী ইমরান কৌশলে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত সুজনের দেহ তল্লাশি করে ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, শনিবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে কদমতলী উত্তরপাড়া এলাকায় আরেকটি অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় আয়াত গার্মেন্টস ট্রেনিং সেন্টারের পাশ থেকে ৫ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদসহ ফরিদ নামে আরেক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকায় চোলাই মদ বিক্রির কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান পুলিশের একটি অগ্রাধিকারমূলক কাজ। সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

যারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।‎

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র কর স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই ফাউন্ডেশনে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আহতদের উপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই ফাউন্ডেশনে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আহতদের উপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত জুলাই যোদ্ধাদের উদ্যোগে এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত জুলাই যোদ্ধা এবং জুলাই ফাউন্ডেশনে নির্যাতনের শিকার জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী জুলাই যোদ্ধা রাহাত হোসেন।

আহত জুলাই যোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমি আর্থিক সহযোগিতার জন্য জুলাই ফাউন্ডেশনে আবেদন করি। তিন মাস পর আমাকে ডেকে নেয়। ডেকে নেওয়ার পর আমাকে বসিয়ে আমার সাথে অনেক খারাপ আচরণ করে।

এরপর আমাকে ভিতরে একটি নিয়ে যায় সেখানে অফিসের কোন কাজ চলে না পরিত্যক্ত। তিনটি রুম আছে টর্চার সেলের মত। এর ভিতরে ঢালাই বিছানা রয়েছে এবং জিআই পাইপ থাকে। এসময় জিআই পাইপ দিয়ে আমাকে বেধরক পিটায়।

তখন সইতে না পেরে আমার দুই ভাইকে ফোন দেই এবং তারা তাদেরকে বলে আপনারা তাকে মাইরেন না সে আসলেই জুলাই যোদ্ধা। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, মেডিকেলের কাগজপত্র রয়েছে। এরপরও আমার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়ার জন্য ইচ্ছামত পিটায়। এরপর আমি সেখান থেকে চলে এসে হাসপাতালে ভর্তি হই। সে কাগজপত্রও আমার কাছে আছে।

আমার মনে একটাই কষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাইছে কিন্তু জুলাই ফাউন্ডেশন যে একটা স্বৈরাচারের ফাউন্ডেশন আমার আগে জানা ছিল না। ওইটার ভিতরে যাওয়ার পরই আমি বুঝছি যে এটা একটা টর্চার সেল। আমাকে এমন ভাবে মারধর করছে সেটা বলার মত না, একটা পশুকেও মানুষ এভাবে মারধর করে না।

ড. ইউনুছের কাছে আমি এটার বিচার চাই। আমাকে যে ছেলেটা মারধর করছে তার নাম সাহেদ। ওর সাথে আরো ৫/৬ জন ছিল। ওকে ধরে আইনের আওতায় আনলেই সে সব স্বীকার করবে।

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী জুলাই যোদ্ধা রাহাত হোসেন বলেন, ৫ই আগষ্টের পরে নতুন পরবর্তী যে সাম্য, সামাজিক ন্যায় বিচারের বাংলাদেশের জন্য, এমনকি জুলাই আহত এবং শহীদ পরিবারের পূনর্বাসন এবং তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য যে জুলাই শহীদ ও স্মৃতি ফাউন্ডেশন নামক ড. ইউনুছের একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল মানব কল্যাণের জন্য বা আহত কিংবা শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য।

সেই প্রতিষ্ঠানের কিছু কিছু কর্মরত ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবেদর নামে জুলাই যোদ্ধাদের ডেকে নিয়ে তাদেরকে যে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে এই এখতিয়ার কিন্তু জুলাই ফাউন্ডেশনের নাই। আমরা চাই এর দৃষ্টান্ত মূলক বিচার হউক। ড. ইউনুছের কাছে আবেদন এই বিষয়টি উদঘাটন করে যেন সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।  

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জুলাই যোদ্ধা সাবিনা ইয়াছমিন, সুমন খান, আল আমিন, সিরাজুল, বুলবুল সিকদার, যুবায়ের, মেদেহী, বাবু, রুবেল, মাসুম, রাকিবুল হোসেন, আলমগীর, নাদিম, ইয়াসিন, মুন্না, সাব্বির হোসেন, সৌরভ, রতন ও শ্রাবণসহ প্রমূখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাগরিক সুবিধা নেই, অর্থবিত্ত হলেই ঢাকা চলে যায় : দিপু
  • মা ইলিশ রক্ষার অভিযান: ৫০ হাজার মিটার অবৈধ জাল ধ্বংস
  • ঝিকরগাছায় ধারালো অস্ত্র, খেলনা পিস্তল, মদসহ আটক ৪
  • শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ১০
  • জুলাই ফাউন্ডেশনে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আহতদের উপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
  • নাসিক ৬নং ওয়ার্ডে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিএনপির মশক নিধন কর্মসূচি
  • তারাব পৌরসভায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে এডিবির প্রতিনিধি দল