বেসরকারি সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশ ‘প্রোগ্রাম অফিসার—নলেজ ম্যানেজমেন্ট, আউটরিচ অ্যান্ড মিডিয়া এনগেজমেন্ট’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে। চুক্তিভিত্তিক এ পদে মাসিক বেতন নির্ধারিত হয়েছে ৮১ হাজার ৭৮১ টাকা। পাশাপাশি উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, অবসর ভাতা, চিকিৎসাসুবিধা, জীবনবিমা, মোবাইল–ইন্টারনেট ভাতা ইত্যাদি সুবিধাও থাকছে।

দায়িত্ব ও কাজের ক্ষেত্র

নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি প্রকল্পের যোগাযোগ, জ্ঞান সংরক্ষণ ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশে বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচার অভিযান পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করবেন। অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো সঙ্গে সমন্বয়, যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলোর সহায়তা এবং জাতীয় পর্যায়ে নীতিভিত্তিক প্রচারণায় নিয়োগপ্রাপ্ত যুক্ত থাকতে হবে।

তাঁকে আরও কাজ করতে হবে তরুণদের উদ্যোগ ও সাফল্যের গল্প প্রচার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা, প্রতিবেদন ও তথ্যচিত্র তৈরির ক্ষেত্রে। প্রকল্পের ফলাফল সংরক্ষণ, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরিতেও যুক্ত থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ায় দুই বছর মুঠোফোনবিহীন শ্রেণিকক্ষ: ফলাফল কেমন২ ঘণ্টা আগে

আবেদনে যোগ্যতা

প্রার্থীকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, জনপ্রশাসন, উন্নয়ন অধ্যয়ন, নারী ও লিঙ্গবিষয়ক অধ্যয়ন অথবা গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।

বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সাবলীল যোগাযোগ দক্ষতা, প্রচারণা কৌশল প্রণয়ন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে পারদর্শিতা থাকতে হবে। তরুণ নেতৃত্ব, লিঙ্গসমতা ও জলবায়ু-সম্পর্কিত বিষয়ে ধারণা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

নিয়োগ ও আবেদন

আগ্রহী প্রার্থীদের ২২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। একশনএইড জানিয়েছে, আবেদনপ্রক্রিয়ায় কোনো অর্থ প্রদান করতে হয় না এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগ বা ফোনকলের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।

আরও পড়ুনমোংলা বন্দরে ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডে চাকরি, ১১৩ পদে নিয়োগ৫ ঘণ্টা আগে

একনজরে

সংস্থা: একশনএইড বাংলাদেশ
পদ: কার্যক্রম কর্মকর্তা (জ্ঞান ব্যবস্থাপনা, প্রচার ও গণমাধ্যম সংযোগ)
প্রকল্প: অ্যাকশন ফর ট্রান্সফরমেশন
কর্মস্থল: ঢাকা
বেতন: ৮১,৭৮১ টাকা (মাসিক), সঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
চুক্তির মেয়াদ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত
যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক/উন্নয়ন অধ্যয়ন/গণমাধ্যম ইত্যাদি বিষয়ে)
অভিজ্ঞতা: দু-তিন বছর

আবেদনের শেষ তারিখ: ২২ অক্টোবর ২০২৫

আবেদন: অনলাইনে (https://jobs.

actionaidbd.org/login)

আরও পড়ুনএই ‘ভুলে ভরা’ বিসিএস প্রশ্নপত্র কারা তৈরি করল১৪ অক্টোবর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন অগ্রাধিকারের দাব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে অগ্রাধিকার হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন’।

পার্বত্য চুক্তির ২৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান প্ল্যাটফর্মটির নেতারা। এ সময় তারা চুক্তি বাস্তবায়নে সম্মিলিত বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বানও জানিয়েছেন।

অন্যান্য দাবিগুলো হলো-চুক্তি বাস্তবায়নে জাতীয় সংলাপ আয়োজন করা এবং কার্যকর রোডম্যাপ ঘোষণা ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।

তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর সংবিধানে পরিচয় অস্বীকারের মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের জুম্ম আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন রাজনৈতিক অধিকার ও সাংস্কৃতিক বিকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ১৯৯৭ সালে সশস্ত্র সংঘাতের অবসানে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক চুক্তি আদিবাসী জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ, ভূমি অধিকার ও স্থানীয় শাসনব্যবস্থার পুনর্গঠনের পথ খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও ২৮ বছর পরও চুক্তির মৌলিক ধারাগুলো কার্যত বাস্তবায়ন হয়নি।”

তিনি বলেন, “চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির পুনর্গঠন আশা জাগালেও ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা স্থগিতকরণ এবং টাস্কফোর্সের কার্যক্রম থমকে যাওয়া গভীর উদ্বেগের। এর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরোক্ষভাবে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগে জটিলতাকেও চুক্তি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার ফল বলে উল্লেখ করা হয়।”

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, “২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান দেশের জন্য গৌরবের, যা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার শপথ তৈরি করেছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ সত্ত্বেও সংস্কার কমিশনগুলোতে আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকারের প্রশ্ন উপেক্ষিত হয়েছে। ভূমি, কৃষি ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন না করা সরকারের বড় ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা কাটাতে এখনো সময় আছে। এ কারণেই পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়েছি।”

এ সময় তিনি সেনাবাহিনীর গঠনমূলক ভূমিকা, জাতীয় সংলাপ এবং সবার অংশগ্রহণে একটি কার্যকর রোডম্যাপ তৈরি হলে পাহাড়ে শান্তি ও গণতন্ত্রের পথ সুদৃঢ় হবে আশা প্রকাশ করেন।

সমাপনী বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রশ্নটি কখনোই দেশের মূলধারার গণতান্ত্রিক আলোচনায় যথাযথ গুরুত্ব পায়নি। বরং দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত থেকেছে।”

তিনি বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা কোনো অঞ্চলের নয়। এটি সমগ্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।”

পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নকে জাতীয় ইস্যু হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ, জাতীয় সংলাপ এবং নতুন গণতান্ত্রিক বন্দোবস্তের অংশ হিসেবে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ