অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের কিছু বিচারকাজ শেষ হবে। সরকার তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। তবে, তড়িঘড়ি করে বিচার শেষ করা হলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।’’

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির পদ্মা মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

শিশুছাত্রকে ধর্ষণের দায়ে মাদ্রাসাশিক্ষকের কারাদণ্ড

কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘‘দেশের আদালতগুলোতে মামলা জট কমাতে ইতোমধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। শহীদ আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে প্রচেষ্টা চলছে। আসামিপক্ষ ইতোমধ্যে আপিল বিভাগে গেছেন। আশা করি খুব শিগগিরই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।’’

এর আগে, আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির ভবনসহ বিভিন্ন সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সমাধানের আশ্বাস দেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ। এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ব্যারিস্টার রাগিব চৌধুরীসহ জেলার সিনিয়র আইনজীবী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যায় ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে জসিম মিয়াকে (৪৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

ভারতীয় ভ্যাকসিন-বীজ বিক্রি করায় ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

শেরপুরে বালু উত্তোলন: ৯ জনকে কারাদণ্ড

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের জিনোদপুর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামে পাট কাটা নিয়ে লিল মিয়ার (৭৫) সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তার ছেলে জসিম উদ্দিনের। একপর্যায়ে ঘর থেকে কাঠ নিয়ে এসে বাবার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন জসিম উদ্দিন। এতে রক্তাক্ত হয়ে বৃদ্ধ লিল মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জসিম উদ্দিনকে দায়ী করে ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। একই বছরের ২৭ আগস্ট একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেওয়া হয় এবং ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০২/৩২৩ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণ ও যুক্তি-তর্ক শেষে আজ আদালত জসিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন খান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এ রায়ের মাধ্যমে বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছেন। 

তবে, আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হক রিটন বলেছেন, এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

ঢাকা/পলাশ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাঁসির বদলে ইনজেকশন দেওয়া হোক, চান ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা
  • সুপ্রিম কোর্ট খুল‌ছে রবিবার 
  • হাইকোর্টে রিট করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন দুই প্রার্থী
  • আসিফ নজরুলের কাছে দুই কোর্ট একত্রে রাখার দাবি জানালেন আনোয়ার প্রধান
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যায় ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 
  • জুলাই ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘জুলাই যোদ্ধা’কে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা
  • বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর, আইনজীবীর উপর হামলার চেষ্টা
  • কালের কণ্ঠের ‘ডিক্লারেশন’ বাতিল চেয়ে সাবেক ১১ কর্মীর রিট