নারায়ণগঞ্জ আদালতে ই-বেল বন্ডের কার্যক্রম শুরু
Published: 16th, October 2025 GMT
বাংলাদেশের প্রথম জেলা হিসাবে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ই-বেল বন্ডের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ৭ জন আসামি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রবিউল ইসলাম একজন আসামীর ই-বেলবন্ড গ্রহন করার মধ্যদিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে ই-বেল বন্ডের কার্যক্রম শুরু হলো।
এসময় নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আইন উপদেষ্টা মহোদয় গত বুধবার বাংলাদেশের প্রথম নারায়ণগঞ্জে ই-বেল বন্ড প্রবর্তন করার পর আজ বৃহস্পতিবার আমরা এর কার্যক্রম শুরু করেছি।
বিচারপ্রার্থী জনগন অচিরেই এর সুফল ভোগ করতে পারবে। এজন্য তিনি বিজ্ঞ আইনজীবী, আদালতের বেঞ্চসহকারী ও বিচারপ্রার্থী জনগনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ আদালতে ই-বেল বন্ড চালু হওয়ায় জামিন নামা জালিয়াতি এবং সকল ধরনের হয়রানী চিরতরে বন্ধ হবে ইনশাআল্লাহ।
নারায়নগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মোঃ ফোরকান ওয়াহিদ বলেন, ই-বেল বন্ডের মাধ্যমে প্রথম দিনেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ৭ জন আসামি।
নির্ধারিত সময় বিকাল ৪ টার মধ্যে ১০ জন আসামির ই-বেল বন্ডের মধ্যে ৭ জন আসামি মুক্তি পেয়েছেন। বাকী ৩ জনের বিরুদ্ধে অন্য মামলা থাকায় তাদের মুক্তি মেলেনি।
এছাড়া নির্ধারিত সময়ের পর আরো ৭ জনের ই-বেল বন্ড পাওয়া গেছে, তারা শুক্রবার সকালে মুক্তি পাবেন। সব মিলিয়ে মোট ১৭ জন আসামির ই-বেল বন্ড নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এসেছে বলে তিনি জানান।
জেল সুপার মোঃ ফোরকান ওয়াহিদ বলেন, ই-বেল বন্ড চালু হওয়ায় স্বাক্ষর জাল করে আসামি জামিন করার ঝুকি কমবে এবং সময় সাশ্রয়ীসহ বিচারপ্রার্থী জনগনের ভোগান্তি লাঘব হবে।
নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ সর্ব প্রথম বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে ফতুল্লা থানার ৪৭(৪)২৫ মোকদ্দমার আসামি রায়হান ইসলামের জামিন মঞ্জুরের পর ই-বেল বন্ডের মাধ্যমে খুব সহজে ও বিনা হয়রানিতে বেল বন্ড পূরণ করে পাঠালাম।
তিনি বলেন, ই-বেল বন্ড খুব সহজ একটি প্রক্রিয়া। আশাকরি সারা বাংলাদেশের আদালতে ই-বেল বন্ডের মাধ্যমে কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া দ্রুত বেলবন্ড জেলা কারাগারে পৌছবে এবং আসামি জামিন লাভের পর দ্রুত পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরে আসবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ই ব ল বন ড র ম র ই ব ল বন ড প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
মাটির নিচের কারাগারে আটক রাখা হয়েছে ফিলিস্তিনিদের
ইসরায়েল গাজার কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে একটি ভূগর্ভস্থ কারাগারে আটকে রেখেছে। সেখানে তারা কখনো দিনের আলো দেখতে পায় না, এমনকি পর্যাপ্ত খাবার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে কমপক্ষে দুইজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন যাদের কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটক রাখা হচ্ছে। এদের মধ্যে একজন নার্স এবং একজন তরুণ খাদ্য বিক্রেতা। ইসরায়েলের পাবলিক কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চার ইন এর আইনজীবীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানুয়ারি থেকে এই দুই ব্যক্তিকে ভূগর্ভস্থ রাকেফেট কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। অন্যান্য ইসরায়েলি আটক কেন্দ্রে যেভাবে নির্যাতন করা হয় বন্দিদের ঠিক তেমনই তাদের নিয়মিত মারধর করা হয়।
রাকেফেট কারাগারটি ১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিপজ্জনক কারাগার। এটি সংগঠিত অপরাধীদের রাখার জন্য খোলা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছর পরে এটি অমানবিক বলে অভিযোগ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবরের হামলার পর অতি-ডানপন্থী নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এটিকে পুনরায় চালু করার নির্দেশ দেন।
কারাগারের সেলগুলো, আঙ্গিনা এবং আইনজীবীদের একটি সভাকক্ষ-সবকিছুই ভূগর্ভস্থ, তাই বন্দিরা এখানে প্রাকৃতিক আলো ছাড়াই বাস করে।
কারাগারটি প্রাথমিকভাবে কয়েকটি উচ্চ-নিরাপত্তা বন্দির জন্য তৈরি করা হয়েছিল যারা পৃথক কক্ষে অবস্থান করত। ১৯৮৫ সালে এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় ১৫ জন আটক ছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, প্রায় ১০০ জন বন্দিকে সেখানে রাখা হয়েছে।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে সম্মত যুদ্ধবিরতির অধীনে, ইসরায়েল গাজা থেকে ১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে যাদের অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখা হয়েছিল। সেইসাথে ইসরায়েলি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
তবে, আটকের পরিমাণ এতটাই ব্যাপক যে, সেই গণমুক্তির পরেও, কমপক্ষে এক হাজার জন এখনো একই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের হাতে আটক রয়েছে।
পাবলিক কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চার ইন বলেছে, “যদিও যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে, (গাজার ফিলিস্তিনিরা) এখনো আইনিভাবে বিতর্কিত এবং সহিংস যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বন্দি রয়েছে যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করে এবং নির্যাতনের সমান।”
ঢাকা/শাহেদ