গাজীপুরের শিমুলতলী এলাকায় বাণিজ্য মেলার আড়ালে জুয়ার আসর ও লটারির নামে প্রতারণা চলছে। সেই মেলা বন্ধ করতে প্রশাসনকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর শিববাড়ি-শিমুলতলী সড়ক অবরোধ করে মেলা বন্ধের জন্য বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা৷ এতে প্রায় দুই ঘণ্টা ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে। 

আরো পড়ুন:

লালন মেলায় মাদক কারবারিদের মারধরে সাংবাদিক আহত

গাজীপুরে মেলায় হেলে পড়লো নাগরদোলা, আহত ৫

সেখানে বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘‘প্রবেশমূল্যের নামে প্রতিটি দর্শনার্থীর কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা। সেই টিকিট দিয়ে ‘লটারি কুপন’ বলে দাবি করে বড় পুরস্কারের লোভ দেখানো হচ্ছে। জুয়ার পাশাপাশি অশ্লীল নাচগান চালিয়ে যুবসমাজকে নষ্ট করছে৷ প্রতিদিন অটোরিকশা দিয়ে মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার লটারি বিক্রি করা হচ্ছে। লটারি যারা পাচ্ছে, তারা মেলার কর্তৃপক্ষের সাজানো লোকজন। আমরা শুনেছি, প্রশাসন নাকি এক কোটি টাকা খেয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে যদি এই মেলা বন্ধ না করা হয়, আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেবো।’’

গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির পক্ষে অবহিতকরণ চিঠি বিতরণ করা হয়। চিঠির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘বেনারশী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের স্বত্বাধিকারী বাদল মিয়া ‘ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প’ মেলার আয়োজন করেছে।’’

গাজীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,  এ মেলা আয়োজনের জন্য অনুমতির চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেনি কর্তৃপক্ষ। তারা একটি অবহিতকরণ চিঠি দিয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর অননুমোদিত মেলা বন্ধ করার জন্য মহানগর পুলিশকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। মেলার বিষয়ে পার্শ্ববর্তী ডুয়েটের শিক্ষার্থীরাও আপত্তি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে।

এ বিষয়ে মেলা আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। 
 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল র খবর

এছাড়াও পড়ুন:

মাতৃস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে নারায়ণগঞ্জ ডিসির কার্যকর উদ্যোগ

নারায়ণগঞ্জ জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল ডায়াথার্মি মেশিন নষ্ট থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ হয়ে যায়। এত বিপাকে পড়ে হাসপাতালে আগত রোগীরা এবং ব্যাহত হয় চিকিৎসা সেবা।

বিষয়টি গত ৫ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় উপস্থাপন করেন উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এখানে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির পাশাপাশি প্রতি মাসে প্রায় ৪০০ গর্ভবতী নারীর সেবা, ৩০টি স্বাভাবিক প্রসব এবং ৪ থেকে ৫টি সিজারিয়ান সেকশন পরিচালিত হয়।

পরে সমস্যার গুরুত্ব অনুধাবন করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা জেলা পরিষদ থেকে দ্রুততম সময়ে একটি ডায়াথার্মি মেশিন উপহার হিসেবে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের হাতে এ মেশিন তুলে দেন। এ উদ্যোগের মাধ্যমে জেলার মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক। 

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সন্তানের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না। তাই মাতৃস্বাস্থ্যের প্রতি সবসময় বিশেষ গুরুত্ব দিই; ভবিষ্যতেও দেব।

স্বাস্থ্যকর্মীদের তিনি অনুরোধ জানান, মায়েদের অনেকেই অসহায় ও অশিক্ষিত। তাদের প্রতি আন্তরিকতা দেখিয়ে কাজ করবেন, যেন তাদের স্বাস্থ্যসেবা কোনোভাবেই ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে।

তিনি আরও জানান, কেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী গ্লুকোমিটার ও রক্তচাপ মেশিনও দ্রুত সরবরাহ করা হবে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: আলমগীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: শহিদুল ইসলাম, সদর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: বোরহান উদ্দিন, এমসিএইচএফপি সদরের মেডিকেল অফিসার ডা. জাফরিন যুবাইয়া সুরভী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাও. মঈনুদ্দিন আহমেদসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ জাকসুর
  • মাতৃস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে নারায়ণগঞ্জ ডিসির কার্যকর উদ্যোগ