জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জকসু) নির্বাচনে জাতীয় ছাত্রশক্তি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ নামে প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় এই প্যানেল ঘোষণা করেন জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ আহসান।

‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়বেন ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও নাট্যকলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে লড়বেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফয়সাল মুরাদ। আর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশক্তির সদস্যসচিব ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাহীন মিয়া লড়বেন।

২১ সদস্যের এ প্যানেল থেকে সমাজসেবা সম্পাদক পদে লড়বেন ফেরদৌস শেখ, নিদ্রা আক্তার শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক, ইমরান হোসেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক, মো.

তারেক (সাবিত তারেক) স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক, মো. জিহাদ আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক, মো. শাহিনুর রহমান তাহসিন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, রাতুল হাসান সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক, ফেরদৌস হোসেন সোহান ক্রীড়া সম্পাদক, মুশফিকুর রহমান পরিবহন সম্পাদক এবং আমিনুল ইসলাম পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদে লড়বেন।

নির্বাহী সদস্য পদে লড়বেন কামরুল হাসান (রিয়াজ), সাজ্জাদ হোসাইন, হাসান মাহমুদ (সাকিব), সিনহা ইসলাম (অর্ণা), জাবির খান, মো. সজিব মৃধা ও কেয়ারুল ইসলাম।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিক কুমার দাসের প্রতি সম্মান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক পদে কোনো প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ছাত্রশক্তি।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনে শিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা৫ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রশক ত র সদস য লড়ব ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলে বাংলাদেশ–ভারত : জানা–অজানা যত গল্প

মোট ২৯টি ম্যাচ। এর মধ্যে ১৩টি শেষ হয়েছে অমীমাংসিতভাবে (ড্র)। ভারত জিতেছে ১৩টিতে, আর বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ৩টি ম্যাচে। একটা সময় দক্ষিণ এশীয় ফুটবলে বাংলাদেশ ও ভারতকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গণ্য করা হতো। ফল যা-ই হোক না কেন, এই দুই প্রতিবেশী দেশের ফুটবল-লড়াই সীমান্তের দুই প্রান্তেই উত্তেজনা ছড়াত। লড়াই হতো হাড্ডাহাড্ডি, মাঠে থাকত আগুনের উত্তাপ। কিন্তু সময় বদলেছে। ভারত এগিয়েছে অনেকটা পথ। বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও সাম্প্রতিক সময়ে হাভিয়ের কাবরেরার দল বেশ ভালো খেলছে। হামজা চৌধুরী ও শমিত শোমদের মতো খেলোয়াড় আসার পর বাংলাদেশের খেলা দেখতে দর্শকদের আগ্রহও বেড়েছে। তার বড় প্রমাণ, দুদলের সর্বশেষ লড়াই। এ বছর মার্চে শিলংয়ে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে গোলশূন্য ড্র হয়েছে সে ম্যাচ। সেটিই ছিল বাংলাদেশের জার্সিতে হামজার অভিষেক। তার আগে ২০২১ সালে মালেতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও ০–০ ড্র করেছে দুই দল।

২০১৯ সালের অক্টোবরের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটা ছিল আলাদা মাত্রার। কলকাতার সেই রাত দুই দেশের ফুটবল-প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় পুরোনো উত্তাপে। বাংলাদেশ জিততে জিততে ড্র করে—সেই আক্ষেপের মধ্যেই জন্ম নেয় নতুন এক স্মৃতি।

আজ বাংলাদেশ–ভারতের আরেকটি ম্যাচের আগে তাই অতীতের দ্বৈরথের গল্পও ফুটবলপ্রেমীদের রোমাঞ্চিত করছে।বাংলাদেশের ভরাডুবির দুই ম্যাচ

ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের প্রথম মুখোমুখি হওয়া ১৯৭৮ সালে ব্যাংকক এশিয়ান গেমসে। কিন্তু সেই ম্যাচের ফল ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশ। বিদেশ বোস, হারজিন্দর সিং ও জাভিয়ের পিয়াসের গোলে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। এছাড়াও, ১৯৯৭ সালে কাঠমান্ডু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিও বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা ভুলে যেতে চাইবেন। সেই ম্যাচে ৭৪ মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইন গোলশূন্য ছিল। এরপর আইএম বিজয়ন ও বাইচুং ভুটিয়ার কারিশমায় বাংলাদেশ হেরে যায় ৩-০ গোলে। বিজয়ন করেন দুটি গোল, আর তৃতীয় গোলটি ছিল বাইচুংয়ের।

আরও পড়ুনহামজা একা কী করবেন১৫ নভেম্বর ২০২৫বাংলাদেশের এগিয়ে গিয়ে হারা

ভারতের বিপক্ষে এগিয়েও ম্যাচ শেষ করতে না পারার নজির আছে অনেক। ১৯৮৫ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলকাতায় ১–০ তে এগিয়ে থেকেও ২–১ এ হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর আরও চারটি ম্যাচে এগিয়ে থেকেও ড্র—১৯৮৯ ইসলামাবাদ সাফ গেমস, ২০১৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০১৪ গোয়া প্রীতি ম্যাচ আর ২০১৯ কলকাতার বাছাইপর্ব। চার ম্যাচের গল্পই একই—এগিয়ে গিয়ে শেষ মুহূর্তে আক্ষেপ।

১৯৮৫ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচ। ঢাকায় দুই দলের অধিনায়ক আশীষ ভদ্র ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফুটবলে বাংলাদেশ–ভারত : জানা–অজানা যত গল্প
  • প্রতি দুটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে