কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ১১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের রবিউল ইসলাম (২৪), রাজিয়া বেগম (২১) ও তাঁদের আড়াই বছর বয়সী শিশু, একই ক্যাম্পের শফিউল্লাহ (১৮), নুরনবী (১৫), বালুখালী ক্যাম্পের আমিনা বেগম (৩৫), আব্দুল আজিজ (১৫), ইমান আলী ওরফে ইসমাইল আজাদ (৪৮) এবং ৯, ৭ ও ৬ বছর বয়সী তিনটি শিশু।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সকাল ছয়টার দিকে সোনাহাট-কচাকাটা সড়কের পাশে ঘোরাঘুরি করার সময় তাঁদের আটক করা হয়। পরে সোনাহাট বিজিবি ক্যাম্পের টহল দল তাঁদের হেফাজতে নেয়।

বিজিবি সূত্র আরও জানায়, প্রায় আট বছর আগে তাঁরা কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্প থেকে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানকার হায়দরাবাদের কাঞ্চনবাগ এলাকায় তাঁরা অবস্থান করছিলেন। তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যরা এখনো কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আছেন।

ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, ‘শুক্রবার সকালে বিজিবি ১১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। তাঁরা কক্সবাজার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিলেন। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষ করে আবারও তাঁদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুর-৬ আসন বহালের দাবিতে টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

গাজীপুর-৬ আসন বহালের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর কলেজ গেটে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

অবরোধের সময় টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে প্রায় ঘণ্টাখানেক ব্যস্ততম এই মহাসড়কে আটকে থেকে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা।

অবরোধের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সালাউদ্দিন সরকার, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক নেতা রাকিব উদ্দিন সরকার, বশির উদ্দিন, সুমন সরকার প্রমুখ।

বিক্ষোভকারীরা জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত গাজীপুর-৬ আসন সোমবার হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে। আদালত এর পরিবর্তে বাগেরহাট-৪ আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। এই রায়কে কেন্দ্র করে দুই দিন ধরেই বৃহত্তর টঙ্গী ও অবিভক্ত গাজীপুর-২ এলাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের গেজেট বাতিলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশনও।

নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসন থেকে কমিয়ে তিনটি সংসদীয় আসন করে গেজেট প্রকাশ করে। অন্যদিকে গাজীপুর জেলার পাঁচটি আসনের মধে৵ ২ নম্বর আসনটি ভাগ করে গাজীপুর-৬–এর গেজেট করে। নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বাগেরহাটবাসী। হরতাল, অবরোধ ও লকডাউন পর্যন্ত করেন তাঁরা। এতে প্রতিকার না হওয়ায় হারানো আসন ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন তাঁরা। দীর্ঘ শুনানির পর ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট গাজীপুর-৬ আসনের গেজেট বাতিল করে বাগেরহাটের আসন পুনর্বহালের রায় ঘোষণা করেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার জানান, গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহালের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ