বিদেশে পালাতে চেয়েছিলেন রাজ-শিল্পা? আদালতের কঠোর নির্দেশ
Published: 17th, October 2025 GMT
অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ও তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রা আবারও আইনি জটিলতায় পড়েছেন। ৬০ কোটি রুপি অর্থ আত্মসাতের মামলার তদন্ত চলমান থাকায় বোম্বে হাইকোর্ট এই দম্পতির বিদেশ–যাত্রার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিল্পা শেঠি দেশ ছাড়তে পারবেন না।
৬০ কোটি রুপির তছরুপ মামলা
গত বছরের আগস্টে ব্যবসায়ী দীপক কোঠারি রাজ কুন্দ্রা ও শিল্পা শেঠির বিরুদ্ধে ৬০ কোটি রুপির বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করেন। তাঁর দাবি, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিনিয়োগের নামে তিনি শিল্পা–রাজের কোম্পানিতে অর্থ দিয়েছিলেন। পরে দেখা যায়, সেই অর্থ ব্যবসায় নয়, ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুম্বাই পুলিশের অর্থ অপরাধ দমন শাখা তদন্ত শুরু করে। তদন্তের স্বার্থে শিল্পা ও রাজের বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার জারি করা হয়, যাতে তাঁরা দেশ ছাড়তে না পারেন।
আদালতের সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি রাজ–শিল্পার পক্ষ থেকে তাঁদের আইনজীবী স্থগিত করার আবেদন জানান, যাতে তাঁরা বিদেশ যেতে পারেন। কিন্তু আদালত আবেদন নাকচ করে জানান, ‘তদন্তের এই পর্যায়ে বিদেশ–যাত্রার অনুমতি দেওয়া যাবে না।’ অভিনেত্রীর আইনজীবী জানিয়েছেন, শিল্পার বিদেশ সফর মূলত ব্যক্তিগত কারণে হওয়ার কথা ছিল। তবে আদালত বলেন, এখনই সেই অনুমতি দেওয়া অনুচিত, কারণ মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে পক্ষভুক্ত হলেন মির্জা ফখরুল ও সুব্রত চৌধুরী
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অংশবিশেষ বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী। এ–সংক্রান্ত আপিলে ইন্টারভেনার হিসেবে যুক্ত হতে তাঁদের করা পৃথক আবেদন মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এ ছাড়া ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস এবং সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি নামের একটি সংগঠনের আবেদনও মঞ্জুর করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয় পরিবর্তন করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অংশবিশেষ বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দেন, তার বিরুদ্ধে তিনটি আপিল এদিন আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এক, দুই ও তিন নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
এর আগে হাইকোর্ট পৃথক দুটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পঞ্চদশ সংশোধনীর অংশবিশেষ অসাংবিধানিক উল্লেখ করে তা বাতিল করে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদকসহ চার ব্যক্তি একটি আপিল করেন, যা কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে ছিল। নওগাঁর বাসিন্দা মো. মোফাজ্জল হোসেন এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে করা পৃথক আপিল যথাক্রমে কার্যতালিকার দুই ও তিন নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ইন্টারভেনার হওয়ার আবেদন দাখিল করেন। নিজে ইন্টারভেনার হতে আবেদন দাখিল করছেন উল্লেখ করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিএনপির পক্ষেও তিনি বলবেন। বিএনপির মহাসচিবের পক্ষে ইন্টারভেনার হতে আবেদন দাখিল করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এ ছাড়া সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি নামের একটি সংগঠনের ইন্টারভেনার হওয়ার আবেদন দাখিল করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক। আবেদন দাখিলের পর আদালত বলেন, আবেদন মঞ্জুর করা হলো।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, আপিলগুলো মঙ্গলবার শুনানির জন্য কার্যতালিকার শীর্ষে ছিল। তবে সামনে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ রয়েছে, যা ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে আপিলগুলোর শুনানি শেষ হবে কি না—এমন প্রসঙ্গ আলোচনায় আসে। আপিলকারী পক্ষের আইনজীবীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শুনানি শেষ করা ও লিখিত আকারে তাঁদের বক্তব্য দাখিল করবেন বলে আদালতকে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ বুধবার আপিল শুনানির জন্য দিন রেখেছেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন এনে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী এনেছিল। ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ ওই সংশোধনীতে সংবিধানে ৫৪টি ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছিল।