সমালোচনা ভুলে ৩৮ বছরের ছোট নায়িকার সঙ্গে চিরঞ্জীবীর রোমান্স
Published: 18th, October 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা চিরঞ্জীবী। হাঁটুর বয়েসি নায়িকা শ্রুতি হাসানের সঙ্গে ‘ওয়ালটেয়ার ভিরিয়া’ সিনেমায় জুটি বেঁধে রোমান্স করতে দেখা গিয়েছে তাকে। তারও আগে ‘আচার্য’ সিনেমায় কাজল আগরওয়ালের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন। এ নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন এই তারকা অভিনেতা। এবার ৩৮ বছরের ছোট এক নায়িকার সঙ্গে পর্দায় রোমান্স করবেন চিরঞ্জীবী।
সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, চিরঞ্জীবীর পরবর্তী সিনেমা ‘মেগা ১৫৮’। নাম চূড়ান্ত না হওয়া এ সিনেমা নির্মাণ করবেন পরিচালক ববি কলি। সিনেমাটির প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করবেন মালবিকা মোহনান। সবকিছু ঠিক থাকলে ৩২ বছর বয়সি মালবিকা ৭০ বছরের চিরঞ্জীবীর সঙ্গে রোমান্স করবেন। তাদের মাঝে বয়সের ব্যবধান ৩৮ বছরের।
আরো পড়ুন:
কানতারা টু: ‘রাজকন্যা কঙ্কাবতী’ রুক্মিণীকে কতটা জানেন?
তামান্নাকে নিয়ে আন্নু কাপুরের ‘অশ্লীল’ মন্তব্য
‘মেগা ১৫৮’ সিনেমা প্রযোজনা করবেন কেভিএন প্রোডাকশন। আগামী ৫ নভেম্বর পূজা-আর্চনার মধ্য দিয়ে সিনেমাটির যাত্রা শুরু করবেন নির্মাতারা। তবে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হবে বলেও এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
চিরঞ্জীবীর হাতে এখন চারটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এর মধ্যে একটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন। এখন পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। অন্যদিকে, তামিল ভাষার ‘সরদার টু’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মালবিকা। তেলেগু ভাষার ‘রাজা সাব’ সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন প্রভাস।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বছর র করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
তালেবান, দেওবন্দ এবং ভারতের ‘ধর্মীয় কূটনীতি’
১০ অক্টোবর। শরতের বাতাসে দিল্লির পাতা ঝরছে। ভারতের মাটিতে পা রাখলেন কাবুলের প্রভাবশালী নেতা মৌলভি আমির খান মুত্তাকি, যিনি আফগানিস্তানের ইসলামিক ইমারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতে তাঁর ছয় দিনের সফর দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির নতুন মানচিত্র আঁকছে।
দিল্লিতে নেমে মুক্তাকি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বসলেন নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হলো, কাবুলে ভারত আবার দূতাবাস খুলবে, যা তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে বন্ধ। এরপর ১১ অক্টোবর মুত্তাকি গেলেন সাহারানপুরের দারুল উলুম দেওবন্দে; যা ইসলামিক ইমারতের কোনো জ্যেষ্ঠ নেতার প্রথম এই ভারতীয় মাদ্রাসা পরিদর্শন।
ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার কীভাবে কট্টর ইসলামপন্থী তালেবান সরকারের একজন মন্ত্রীকে গ্রহণ করল—এ রকম প্রশ্ন নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ চলছে নিশ্চয়ই। কাবুলের সঙ্গে দিল্লি এমন এক সময়ে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, যখন পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের দূরত্ব বাড়ছে, সীমান্তে রক্তাক্ত সংঘর্ষ চলছে। তাহলে দেওবন্দ পরিদর্শন কি শুধু প্রতীকী, নাকি এর মধ্যে কোনো গভীর রাজনৈতিক ইঙ্গিতও রয়েছে?
২.২০২১ সালের আগস্ট তো বেশি দূরের সময় নয়। মার্কিন বাহিনী চলে যাওয়ার পর তালেবান ক্ষমতায় এলে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ভারত। চার বছর ‘সম্পর্কহীন’ থাকার পর তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবার দিল্লিতে এসে বললেন, অমৃতসর-কাবুল ফ্লাইট শুরু হবে শিগগিরই। চার দশকের যুদ্ধে ক্লান্ত আফগানিস্তানের মানুষ উন্নয়নের জন্য উদ্গ্রীব।
আফগানিস্তানের আগের সরকারের সময় ভারত সেখানে তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে সালমা ড্যাম, জারঞ্জ-দেলারাম হাইওয়ে ও পার্লামেন্ট ভবনের মতো প্রকল্পে। এবার মুত্তাকি এসে আফগানিস্তানের খনিজ ক্ষেত্রেও ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অনেকে বলছেন, এটা ‘তালেবান ২.০’-এর ইঙ্গিত। আসলেই কি তাই, নাকি এটা ‘শত্রুর শত্রু হলো বন্ধু’ কৌশলের খেলা? ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তান, যারা এখন আফগানিস্তানের ইসলামিক ইমারতের শত্রু।
■ দেওবন্দের যে চিন্তাধারা তালেবানকে প্রভাবিত করেছে, সেটি এসেছে পাকিস্তানের ‘ছাঁকনি’ দিয়ে। ■ প্রথমবারের মতো দেওবন্দ মাদ্রাসার সঙ্গে এবং দেওবন্দি ভারতীয় রাজনীতিকদের সঙ্গে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক রচিত হলো পাকিস্তানের ছায়ার বাইরে গিয়ে।বোঝার জন্য বলি, আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক অনেকটাই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের সঙ্গে তুলনীয়। ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে বটে; কিন্তু নানা যৌক্তিক কারণেই স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারতবিরোধী মনোভাব রয়েছে। কিন্তু ভারত ছাড়া আমাদের আবার চলেও না। চিকিৎসা, শিক্ষা, ভ্রমণ এমনকি ঈদের বাজার করতে ভারতেই ভরসা ছিল এতকাল; এমনকি বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদেরও ‘শেষ আশ্রয়স্থল’ ভারত। বাংলাদেশের আলেম-ওলামাদের যদিও আগ্রাসী ভারতের প্রতি পুঞ্জীভূত ক্ষোভ রয়েছে, কিন্তু দেওবন্দ মাদ্রাসার কারণে ভারতের আলেম-ওলামার সঙ্গে তাদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগও রয়েছে। এ কারণেই বাংলাদেশে বড় কোনো ইসলামি সম্মেলন মানেই ভারতের কোনো আলেমের আগমন।
দিল্লি সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি