আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি-যুবদলের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬ জন হাসপাতালে
Published: 18th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি ও যুবদলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার মেঘনা নদীর চরাঞ্চল কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের খালিয়ারচর পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র, টেঁটা, বল্লম ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে উভয় পক্ষের আহত ২২ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল মতিন (৫০), জমির আলী (৫০), রাফি মিয়া (২৪), খায়ের উদ্দিন (৪২), জোনায়েত মিয়া (২৫), কালু মিয়া (৩৭), খলিলুর রহমান (৪০), আল আমিন (২৫), রশিদ মিয়া, (৫০), মনির হোসেন (৩৫), মজিবুর রহমান (৫০), সালাউদ্দিন মিয়া (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৩৫), শুভ মিয়া (২৫), জুনায়েদুর রহমান (২৫), রাজীব মিয়া (১৫), আহাদ মিয়া (১৮), তামিম মিয়া (১৪), আবদুর রহিম (৪৫), আলমগীর হোসেন (৪২), স্বপন মিয়া (৪০) ও আমির আলী (৬০)।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মতিন, খায়ের, জোনায়েত, কালু, খলিলুর ও আল আমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্যরা আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ফকির জহিরুল ইসলামের সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি কবির হোসেনের অনুসারীদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুই নেতা নিজেদের প্রভাব বাড়াতে নিজ বলয়ে নতুন লোকজন ভেড়াতে শুরু করেন। এ সময় উভয় পক্ষই একে-অপরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে পুনর্বাসনের অভিযোগ করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি গ্রামের একটি হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে পুরোনো বিরোধ বাড়তে থাকে। সেই বিরোধের জেরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জহিরুল ও কবিরের অনুসারীদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর আজ খালিয়ারচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের ফকির বাড়ি জামে মসজিদের সামনে উভয় পক্ষের লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন স্থানীয়রা। তবে কে বা কারা গুলি ছুড়েছেন, জানা যায়নি।
এ বিষয়ে যুবদলের নেতা ফকির জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘হত্যা মামলার আসামিদের শেল্টার দিচ্ছে কবিরের লোকজন। তারা মামলায় জামিন না নিয়েই এলাকায় ঘোরাফেরা করলে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের বাধা দেন। এর জেরে এলাকাবাসীর ওপর হামলা করে কবিরের লোকজন। এলাকাবাসী তখন প্রতিরোধ করে।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা কবির হোসেন বলেন, ‘বিনা উসকানিতে আমার অনুসারীদের ওপর হামলা করে জহিরুলের লোকজন। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
সংঘর্ষের ঘটনায় রাত আটটা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী ইসলাম। তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র অন স র দ র য বদল র র ল কজন স ঘর ষ ব এনপ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মহানগর যুবদলের দোয়া ও খাবার বিতরণ
বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল এবং খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ২ ডিসেম্বর ) বাদ জোহর শহরের কিল্লারপুল জামে মসজিদ মাঠে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম আপনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহানগর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সু- স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়। পরে সকলের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
দোয়া পূর্বে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম, ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম হারুনসহ নারায়ণগঞ্জ সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর থানা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ ।