চট্টগ্রামের শিশির ভাবনায় বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
Published: 28th, October 2025 GMT
ভাগ্যিস বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বল পুরোনো হওয়ার আগেই নিজেরাই আত্মসমর্পণ করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা নিজেদের চেষ্টা করেছেন। এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু করেননি। তাতেই ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের রান তাড়ায় ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশের। অথচ বাংলাদেশের পরাজয় এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিতে পারত মাঠের শিশির। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে শিশিরের প্রকোপে বোলারদের বল গ্রিপ করতে কষ্ট কচ্ছিল। তাতে ভয় ধরেছিল অতিথি শিবিরে। শেষ পর্যন্ত ১৬ রানে ম্যাচ জিতে নেওয়ায় খুশি তারা। তবে শিশির নিয়ে ভাবনা ছিলো দুই দলই। রোভমান পাওয়েল ৪৪ রান করেন ১ চার ও ৪ ছক্কায়। চতুর্থ উইকেটে হোপকে নিয়ে ৪৬ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়েন। যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তবুও শিশির নিয়ে ভয় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে।
রোভমান পাওয়ের ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেই কথাই বললেন, ‘‘“এটা স্পষ্ট যদি বাংলাদেশের মূল ব্যাটসম্যানদের কেউ আরও লম্বা সময় কাটাতে পারত, তাহলে আমরা চাপে পড়ে যেতাম। কারণ, শেষ দিকে মাঠ ভিজে গিয়েছিল। আমাদের বোলারদের এর জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা পরিকল্পনায় অটল ছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়েছে। “আমরা পিচ নিয়ে তথ্য নিয়েছি, মাঠ নিয়ে তথ্য নিয়েছি। কিন্তু আমরা জানতাম না, মাঠ এতটা ভেজা থাকবে। পরের দুই ম্যাচে এই ব্যাপারটা আমাদের ভাবনায় রাখতে হবে।” বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পাওয়ার প্লে’তে উইকেট না হারালে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারত বলেই বিশ্বাস করেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করা তানজিম। কারণ শিশিরের কারণে শেষ দিকে ব্যাটিং করা সহজ হয়ে যাচ্ছিল।
সাকিব বলেছেন, ‘‘“যদি দেখেন, শেষের দিকে শিশিরের কারণে বল অনেক সহজে ব্যাটে আসছিল। আমার মনে হয়, যদি একজন থিতু ব্যাটসম্যান থাকত, তাহলে ম্যাচটা অনেক সহজ হয়ে যেত। শেষ দুই ওভারে ৩০ রান দরকার ছিল, একজন থিতু ব্যাটার থাকলে ম্যাচ হাতের মধ্যেই থাকত।” পরের ম্যাচ একদিন পরই। ম্যাচ শুরুর সময় সন্ধ্যা ৬টায়। সেই ম্যাচেও শিশির বড় ভূমিকা রাখতে পারে সেই বিষয়ে সতর্কবার্তা এই ম্যাচেই পেয়ে গেছে দুই দল।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পসরা সাজিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিলছে তাৎক্ষণিক ঋণসুবিধাও
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নিয়ে শুরু হয়েছে ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। এবারের মেলায় মোট ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন ঋণের স্কিম বা সুবিধা নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছে।
ক্ষেত্রবিশেষে এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ২ লাখ থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা দিচ্ছে। ঋণের বিপরীতে উদ্যোক্তাদের ৪ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে হবে। মেলায় কিছু ব্যাংক তাৎক্ষণিক ঋণসেবা দিচ্ছে। এই ঋণ যে মেলা থেকেই দেওয়া হচ্ছে, তা নয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা দেওয়া হচ্ছে।
৭ ডিসেম্বর রোববার এই মেলা শুরু হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসেছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনে কেন্দ্রে এই মেলা হচ্ছে।
সিটি ব্যাংক
এসএমই পণ্য মেলায় উদ্যোক্তাদের জন্য পাঁচ ধরনের ঋণ নিয়ে এসেছে সিটি ব্যাংক। সিটি ব্যাংক ক্ষুদ্র ও মাইক্রো ঋণের আওতায় জামানত ছাড়া সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবেন উদ্যোক্তারা। জামানতসহ ঋণ নেওয়া যাবে ৫ কোটি টাকা।
স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের জন্য আছে সিটি স্টার্টআপ লোন সেবা। এর আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্টার্টআপ তহবিল থেকে কোনো স্টার্টআপ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে। সে জন্য উদ্যোক্তার বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। স্টার্টআপে নিজেদের বিনিয়োগ থাকতে হবে ৩০ শতাংশ।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদাভাবে রয়েছে সিটি আলো ঋণসেবা। এই সেবার আওতায় জামানত ছাড়া দেড় কোটি টাকা ঋণ পাওয়া যাবে। ৫ শতাংশ সুদে একজন নারী উদ্যোক্তা ১ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন ঋণ পেতে পারবেন। ঋণের জন্য ১ থেকে ২ বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সিটি ব্যাংকের ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিলেশনশিপ ম্যানেজার চন্দন কুমার ঘোষ বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের স্টলে ৭০ থেকে ৮০ জন উদ্যোক্তা ঋণ নেওয়ার আগ্রহ নিয়ে আসছেন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আমরা ৫ শতাংশ সুদে পুনঃঅর্থায়ন ঋণ দিচ্ছি। কৃষি ঋণের ক্ষেত্রেও সুদের হার তুলনামূলক কম। তবে জামানতবিহীন ঋণ পেতে উদ্যোক্তার ব্যবসার সম্ভাবনা ও নগদ অর্থের প্রবাহ বিবেচনা করা হয়।’
ব্র্যাক ব্যাংকের স্টলে একজন গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলছেন কর্মীরা।