১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৭ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের। স্কোরবোর্ডে আরো ২০ রান যোগ করতেই আরো ১ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের করুণ ব্যাটিংয়ে ১৬ রানের ব্যবধানে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। যে হারের একমাত্র কারণ বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা।
যদিও অধিনায়ক লিটন দাস স্লগ ওভারের বোলিংকে সামনে এনেছেন। তবুও শুরুর ব্যাটিং ব্যর্থতাই হারের কারণ। কেননা শেষ দিকে লেজের ব্যাটসম্যানরা ম্যাচের ব্যবধান কমিয়ে এনেছিলেন। বাংলাদেশের পেসার তানজিম হাসান সাকিবের আক্ষেপ শেষ দিকে একজন ব্যাটসম্যান থাকলেই ম্যাচটা বাগিয়ে নিয়ে আসতে পারত বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তানজিম বলেছেন, ‘‘যদি দেখেন, শেষের দিকে শিশিরের কারণে বল অনেক সহজে ব্যাটে আসছিল। আমার মনে হয়, যদি একজন থিতু ব্যাটসম্যান থাকত, তাহলে ম্যাচটা অনেক সহজ হয়ে যেত। শেষ দুই ওভারে ৩০ রান দরকার ছিল, একজন থিতু ব্যাটার থাকলে ম্যাচ হাতের মধ্যেই থাকত।”
১৪৯ রানে বাংলাদেশের ইনিংস থামে। তানজিম ছিলেন দলের সেরা ব্যাটসম্যান। ২৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করেন। শেষ পর্যন্ত থাকতে না পারায় নিজের ইনিংস নিয়েও আক্ষেপ ঝরল তানজিমের কণ্ঠে, “আমি যদি ম্যাচ শেষ করতে পারতাম, খুব ভালো লাগত। বল ব্যাটে ভালোভাবে আসছিল, আমি সেট ছিলাম, নাসুম ভাইও ভালো সাপোর্ট দিচ্ছিলেন, বাউন্ডারি মারছিলেন। মনে হচ্ছিল, আমি এক ব্যাটসম্যানকে নিয়েই ব্যাট করছি। যদি আরও কিছুক্ষণ থাকতে পারতাম, হয়তো ম্যাচটা একদম শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারতাম। রিশাদও তখন আসত, ম্যাচটা হয়তো অন্যরকম হতো।”
বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা এত দূর নিয়ে এসেছে আসলে তানজিমের সঙ্গে নাসুম আহমেদের জুটি। সপ্তম উইকেট জুটিতে ২৩ বলে দুজন মিলে করেছেন ৪০ রান। এর আগে পাওয়ারপ্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে দূরে সরে গিয়েছিল অনেকটাই। তানজিমও মনে করেন তেমন, ‘‘উইকেটগুলো হারিয়েছি পাওয়ারপ্লেতে। তারা যদি সেট হয়ে আউট হতো, আলাদা একটা দৃশ্য হতো। কিন্তু বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই সেট হওয়ার আগেই আউট হয়ে গেছে।’’
বাংলাদেশের প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের চারজনই যেতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে। ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বললেন তানজিম, ‘‘আমি মনে করি আরেকটু দায়িত্ব নিতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করার কোনো বিকল্প নেই।’’
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য টসম য ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পসরা সাজিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিলছে তাৎক্ষণিক ঋণসুবিধাও
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নিয়ে শুরু হয়েছে ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। এবারের মেলায় মোট ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন ঋণের স্কিম বা সুবিধা নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছে।
ক্ষেত্রবিশেষে এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ২ লাখ থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা দিচ্ছে। ঋণের বিপরীতে উদ্যোক্তাদের ৪ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে হবে। মেলায় কিছু ব্যাংক তাৎক্ষণিক ঋণসেবা দিচ্ছে। এই ঋণ যে মেলা থেকেই দেওয়া হচ্ছে, তা নয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা দেওয়া হচ্ছে।
৭ ডিসেম্বর রোববার এই মেলা শুরু হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসেছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনে কেন্দ্রে এই মেলা হচ্ছে।
সিটি ব্যাংক
এসএমই পণ্য মেলায় উদ্যোক্তাদের জন্য পাঁচ ধরনের ঋণ নিয়ে এসেছে সিটি ব্যাংক। সিটি ব্যাংক ক্ষুদ্র ও মাইক্রো ঋণের আওতায় জামানত ছাড়া সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবেন উদ্যোক্তারা। জামানতসহ ঋণ নেওয়া যাবে ৫ কোটি টাকা।
স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের জন্য আছে সিটি স্টার্টআপ লোন সেবা। এর আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্টার্টআপ তহবিল থেকে কোনো স্টার্টআপ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে। সে জন্য উদ্যোক্তার বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। স্টার্টআপে নিজেদের বিনিয়োগ থাকতে হবে ৩০ শতাংশ।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদাভাবে রয়েছে সিটি আলো ঋণসেবা। এই সেবার আওতায় জামানত ছাড়া দেড় কোটি টাকা ঋণ পাওয়া যাবে। ৫ শতাংশ সুদে একজন নারী উদ্যোক্তা ১ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন ঋণ পেতে পারবেন। ঋণের জন্য ১ থেকে ২ বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সিটি ব্যাংকের ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিলেশনশিপ ম্যানেজার চন্দন কুমার ঘোষ বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের স্টলে ৭০ থেকে ৮০ জন উদ্যোক্তা ঋণ নেওয়ার আগ্রহ নিয়ে আসছেন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আমরা ৫ শতাংশ সুদে পুনঃঅর্থায়ন ঋণ দিচ্ছি। কৃষি ঋণের ক্ষেত্রেও সুদের হার তুলনামূলক কম। তবে জামানতবিহীন ঋণ পেতে উদ্যোক্তার ব্যবসার সম্ভাবনা ও নগদ অর্থের প্রবাহ বিবেচনা করা হয়।’
ব্র্যাক ব্যাংকের স্টলে একজন গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলছেন কর্মীরা।