শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেন, সারা দেশে সাধারণ ও কারিগরি মিলিয়ে ২ হাজার ৬০০–এর অধিক এমপিওভুক্তির উপযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্তকরণ করে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার। গত সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সভাপতিত্বে নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১ করতে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব, হলে কত টাকা লাগবে০৯ নভেম্বর ২০২৫

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো.

সেলিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মজিবুর রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সহসম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির শিক্ষা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ওমর ফারুক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফয়সালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

বৈঠকে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত এমপিওভুক্তকরণ প্রক্রিয়া, এর নীতিমালা, বাস্তবায়ন কৌশল ও সরকারের চলমান পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।

আরও পড়ুনপড়ালেখা শেষে অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ার্ক ভিসা পেতে করণীয় কী৯ ঘণ্টা আগে

অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো সবাই মিলে যদি এ রকম কোনো প্রস্তাবনা দেয় যে ক্ষমতায় গেলে এই এমপিও প্রক্রিয়াকে তারা অব্যাহত রাখবে এবং শিক্ষকদের মান মর্যাদা বাড়াবে। তাহলে এটা তাদের এখনই ডিক্লেয়ার করা উচিত। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য একদিকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে, যা করার আমরা চেষ্টা করছি। রাজনৈতিক দলগুলোর যদি ওই ডিক্লারেশনটা দেন, তাহলে তারাও নিশ্চিত হবে যে বৃহত্তর পরিসরে জাতীয় একটা ঐকমত্য এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

সি আর আবরার বলেন, নন–এমপিও প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করার জন্য চলতি অর্থবছরে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এর মধ্যে ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ চলে গেছে বাসাভাড়া বৃদ্ধি, বোনাসসহ অন্যান্য খাতে। তবে যাঁরা এমপিও ভুক্ত হতে পারেন নাই এবং যেসব যোগ্য প্রতিষ্ঠান একাধিকবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তাদের বিষয় বিবেচনার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত, তবে অধ্যাদেশসহ সামগ্রিক প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ১৯ ঘণ্টা আগে

শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার আরও বলেন, ‘আমাদের এমপিওটা হবে মূলত কারিগরির ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিতে। তাই ঢালাওভাবে এমপিওভুক্ত না করে কারিগরি শিক্ষাকে যারা প্রমোট করে, তাদের বিষয়টাকে মাথায় রাখা হচ্ছে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোও যেন কারিগরি শিক্ষার দিকে মনোযোগ দেয়, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া দরকার।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর আবর র র জন ত ক উপদ ষ ট এমপ ও

এছাড়াও পড়ুন:

২৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্ত করে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেন, সারা দেশে সাধারণ ও কারিগরি মিলিয়ে ২ হাজার ৬০০–এর অধিক এমপিওভুক্তির উপযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্তকরণ করে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার। গত সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সভাপতিত্বে নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১ করতে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব, হলে কত টাকা লাগবে০৯ নভেম্বর ২০২৫

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মজিবুর রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সহসম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির শিক্ষা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ওমর ফারুক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফয়সালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

বৈঠকে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত এমপিওভুক্তকরণ প্রক্রিয়া, এর নীতিমালা, বাস্তবায়ন কৌশল ও সরকারের চলমান পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।

আরও পড়ুনপড়ালেখা শেষে অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ার্ক ভিসা পেতে করণীয় কী৯ ঘণ্টা আগে

অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো সবাই মিলে যদি এ রকম কোনো প্রস্তাবনা দেয় যে ক্ষমতায় গেলে এই এমপিও প্রক্রিয়াকে তারা অব্যাহত রাখবে এবং শিক্ষকদের মান মর্যাদা বাড়াবে। তাহলে এটা তাদের এখনই ডিক্লেয়ার করা উচিত। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য একদিকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে, যা করার আমরা চেষ্টা করছি। রাজনৈতিক দলগুলোর যদি ওই ডিক্লারেশনটা দেন, তাহলে তারাও নিশ্চিত হবে যে বৃহত্তর পরিসরে জাতীয় একটা ঐকমত্য এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

সি আর আবরার বলেন, নন–এমপিও প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করার জন্য চলতি অর্থবছরে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এর মধ্যে ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ চলে গেছে বাসাভাড়া বৃদ্ধি, বোনাসসহ অন্যান্য খাতে। তবে যাঁরা এমপিও ভুক্ত হতে পারেন নাই এবং যেসব যোগ্য প্রতিষ্ঠান একাধিকবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তাদের বিষয় বিবেচনার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত, তবে অধ্যাদেশসহ সামগ্রিক প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ১৯ ঘণ্টা আগে

শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার আরও বলেন, ‘আমাদের এমপিওটা হবে মূলত কারিগরির ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিতে। তাই ঢালাওভাবে এমপিওভুক্ত না করে কারিগরি শিক্ষাকে যারা প্রমোট করে, তাদের বিষয়টাকে মাথায় রাখা হচ্ছে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোও যেন কারিগরি শিক্ষার দিকে মনোযোগ দেয়, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া দরকার।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ