বিকাশের মাধ্যমে ৫০ লাখ মাসিক সঞ্চয়ী হিসাব খুলেছেন গ্রাহকেরা
Published: 19th, November 2025 GMT
চার বছরে অ্যাপ ব্যবহার করে ৫০ লাখের বেশি মাসিক সঞ্চয়ী হিসাব বা ডিপিএস খুলেছে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশের গ্রাহক। বিকাশ অ্যাপ থেকে যেসব সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হয়েছে তার ৩০ শতাংশই নারীদের। আর মোট সঞ্চয়ী হিসাবের ৮০ শতাংশ হিসাবধারী বসবাস করেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিকাশ। এতে বলা হয়, ৬৪ জেলার গ্রাহকই বিকাশের মাধ্যমে সঞ্চয়ী হিসাব খুলেছেন। সঞ্চয়ী হিসাবের ৫৫ শতাংশ খোলা হয়েছে ব্যাংকিং সময়ের পর। অর্থাৎ গ্রাহকেরা নিজেদের সুবিধামতো সময়ে সেবা নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, যেসব গ্রাহকের মাসিক সঞ্চয়ী হিসাব ইতোমধ্যে মেয়াদপূর্ণ হয়েছে, তাঁদের ৯৬ শতাংশ বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে মাসিক সঞ্চয়ী হিসাব খোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বিকাশের অ্যাপ ব্যবহার করে সব মিলিয়ে চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয়ী হিসাব খোলা যায়। প্রতিষ্ঠান ও সঞ্চয়ী হিসাবের ধরনভেদে (সাপ্তাহিক বা মাসিক) বিকাশে ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ চার বছর মেয়াদে সঞ্চয়ী হিসাব খোলা যায়। এসব মাসিক সঞ্চয়ী হিসাবে ২৫০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় করতে পারেন একজন গ্রাহক। অ্যাপের মাধ্যমে একজন গ্রাহক মাসিক সঞ্চয়ী হিসাবের টাকা জমা ও মুনাফা দুটোই দেখতে পারবেন। আর সঞ্চয়ী হিসাব মেয়াদপূর্ণ হলে ‘ক্যাশ আউট’ খরচ ছাড়াই মুনাফাসহ মূল অর্থ তুলতে পারবেন গ্রাহক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২০২১ সালে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের মাসিক ডিপিএস সেবা দিয়ে যাত্রা শুরু কররেছিল বিকাশ। এখন এই সেবায় যুক্ত হয়েছে ঢাকা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক। আর বিকাশ অ্যাপে মাসিক ডিপিএসের পাশাপাশি সাপ্তাহিক ডিপিএস সেবা চালু হয় ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে। সাধারণ ডিপিএস ছাড়াও যে গ্রাহকেরা ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক সঞ্চয়ে আগ্রহী, তাঁদের জন্য রয়েছে দুটি ব্যাংকের ইসলামিক মাসিক সঞ্চয়ী হিসাব।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র হক র ন গ র হক ড প এস
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি আরবে দুর্ঘটনার কবলে বাস: বেঁচে আছেন ভারতীয় ওমরাহযাত্রীদের একজন
সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে যাওয়া ভারতীয়দের বহনকারী বাসের একজন যাত্রী বেঁচে আছেন। তাঁর নাম মোহাম্মদ আবদুল শোয়েব (২৪)। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওই বাসের ৪২ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে আবদুল শোয়েবের বেঁচে থাকার কথা জানা গেছে। তাঁর বাড়ি ভারতের হায়দরাবাদে। দুর্ঘটনার পর তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে কেমন আছে, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
বাসটি ওমরাহযাত্রীদের নিয়ে মক্কা থেকে মদিনায় যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে বাসটির সঙ্গে একটি জ্বালানিবাহী ট্যাংকারের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের সহযোগিতার জন্য জেদ্দায় অবস্থিত ভারতীয় মিশন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে।
সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বর্তমানে রাশিয়া সফররত জয়শঙ্কর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘রিয়াদে আমাদের দূতাবাস ও জেদ্দা কনস্যুলেট দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয় ও তাঁদের পরিবারগুলোর প্রতি সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছে। শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ রেবন্ত রেড্ডিও এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। রেড্ডির কার্যালয় জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনা সম্পর্কে জানতে এবং অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।