হোসিয়ারী সমিতি নির্বাচনে বদু প্যানেলের ব্যাপক প্রচারণা
Published: 15th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশন (২০২৫-২০২৭) নির্বাচন উপলক্ষে ভোটারদের ধারে ধারে ভোট চাইছেন সভাপতি পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মো. বদিউজ্জামান বদু প্যানেল।
বুধবার (১৫ই জানুয়ারী) সকালে নগরীর নয়ামাটি এলাকার মার্কেট সহ বিভিন্ন হোসিয়ারী ব্যবসায়ীদের নিকট ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করেন আলহাজ্ব বদিউজ্জামান বদু প্যানেল এর জেনারেল গ্রুপ ও এসোসিয়েট গ্রুপের সকল সদস্যবৃন্দ।
এসময় বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের ভোটারদের উদ্দেশ্যে সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব বদিউজ্জামান বদু বলেন, আপনারা দোয়া করবেন আমি নির্বাচিত হলে হোসিয়ারী সমিতি ভবন একটি বহুতল ভবনে রুপান্তরিত করবো এবং সকল সদস্য যাতে করে যে কোনো অনুষ্ঠানে সুফলতা পায় আমরা সেই ব্যবস্থা করবো।
হোসিয়ারী মালিক সমিতির সদস্যরা চায় নয়ামাটি, উকিলপাড়া ও দেওভোগ মার্কেটসহ হোসিয়ারী পল্লীগুলোতে আগের মতো পাইকারদের ঘমঘম করবে। যাতে করে তারা এখানে এসে সহজেই ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে। আমি এ জন্য আপনাদের সকলের দোয়া, ভালবাসা ও সমর্থন চাই। ভোট আপনাদের মূল্যবান একটি আমানত।
এটা কারো কথায় নয় এই আমানত আপনারা যোগ্য ব্যাক্তিকেই বাছাই করে দেবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনারা আপনাদের মূল্যবান ভোট আমাদের পুরো প্যানেলকে দিয়ে সকল হোসিয়ারী ব্যবসায়ী ভাইদের খেদমত করার সুযোগ দিবেন। আমাদের প্যানেলের পক্ষ থেকে একটাই অনুরোধ থাকবে আপনারা ভাল মানুষকেই বেছে নিবেন কোন বিতর্কিত ব্যাক্তিকে নয়।
এসময় প্রচারণাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ গ্রুপের পরিচালক পদ-প্রার্থী আব্দুস সবুর খান সেন্টু মনির হোসেন খান, মো.
প্রসঙ্গত, আগামী ১৮ই জানুয়ারী প্রার্থীদের ক্রমিক নম্বরসহ তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ভোট গ্রহণ চলবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এস স য় ব যবস আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় ছেলেকে তুলে নিয়ে ছুরিকাঘাত
ফতুল্লায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলেকে তুলে নিয়ে ছুরিকাঘাত করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় ৪ দিন অতিবাহিত হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১টায় ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। একই দিন রাতে ভিকটিম গোলাম রহমান জিসান (২১) এর মাতা নুরুন্নাহার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযুক্তরা হলো, পূর্ব লামাপাড়া এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মামুন (৩৫) ও কামাল (৩৭) এবং কুতুবপুর এলাকার মৃত সামাদের ছেলে সুবুজ (৪০) সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন।
অভিযোগে নুরুন্নাহার উল্লেখ করেন, বিবাদীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন মানুষদের হুমকি প্রদান করে। উক্ত বিবাদীরা আমার বাড়ী সংলগ্ন রাস্তার উপর এসে প্রায় সময় মাদক ক্রয়-বিক্রয় করে।
আমি গত ৭/৮ দিন পূর্বে উক্ত বিবাদীদের আমার বাড়ী সংলগ্ন মাদক ক্রয়-বিক্রয়ে বাধা নিষেধ করি এবং অন্যত্র চলিয়া যেতে বলি। এসময় তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করলে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব বলে জানাই। তখন তারা আমার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে আমার বড় ধরণের ক্ষতি করার হুমকি প্রদান করে।
তারই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১ টার দিকে উক্ত বিবাদীরা সহ অজ্ঞাত ৮/১০ জন আমার বাড়ির সামনে এসে আমার ছোট ছেলে মো: গোলাম রহমান জিসানকে ফতুল্লা থানার কোবা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে যায়।
এসময় আমার ছেলে চিৎকার করিলে বিবাদী মামুনের হাতে থাকা সুইচ গিয়ার দ্বারা আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘাই মারলে উহা লক্ষ ভ্রষ্ট হয়ে বাম হাতে লাগলে আমার ছেলে রক্তাক্ত জখম হয়।
পরবর্তীতে আমার ছেলে দৌড় দিলে তারা আমার ছেলেকে রাস্তায় ফেলিয়া মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আমার ছেলের চিৎকারে স্থানীয় হানিফ ও লিটন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা তাদেরকে মারধর করে নিলাফোলা জখম করে।
এসময় পর্যাপ্ত লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে বিবাদীরা আমাকেসহ আমার ছেলেদের জীবনে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বিবাদীদের হুমকিতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। পরবর্তীতে আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল খানপুর নিয়ে যাই।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু রায়হান জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।