বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশন (২০২৫-২০২৭) নির্বাচন উপলক্ষে ভোটারদের ধারে ধারে ভোট চাইছেন সভাপতি পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মো. বদিউজ্জামান বদু প্যানেল। 

বুধবার (১৫ই জানুয়ারী) সকালে নগরীর নয়ামাটি এলাকার মার্কেট সহ বিভিন্ন হোসিয়ারী ব্যবসায়ীদের নিকট ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করেন আলহাজ্ব বদিউজ্জামান বদু প্যানেল এর জেনারেল গ্রুপ ও এসোসিয়েট গ্রুপের সকল সদস্যবৃন্দ। 

এসময় বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের ভোটারদের উদ্দেশ্যে সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব বদিউজ্জামান বদু বলেন, আপনারা দোয়া করবেন আমি নির্বাচিত হলে হোসিয়ারী সমিতি ভবন একটি বহুতল ভবনে রুপান্তরিত করবো এবং সকল সদস্য যাতে করে যে কোনো অনুষ্ঠানে সুফলতা পায় আমরা সেই ব্যবস্থা করবো।

হোসিয়ারী মালিক সমিতির সদস্যরা চায় নয়ামাটি, উকিলপাড়া ও দেওভোগ মার্কেটসহ হোসিয়ারী পল্লীগুলোতে আগের মতো পাইকারদের ঘমঘম করবে। যাতে করে তারা এখানে এসে সহজেই ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে। আমি এ জন্য আপনাদের সকলের দোয়া, ভালবাসা ও সমর্থন চাই। ভোট আপনাদের মূল্যবান একটি আমানত।

এটা কারো কথায় নয় এই আমানত আপনারা যোগ্য ব্যাক্তিকেই বাছাই করে দেবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনারা আপনাদের মূল্যবান ভোট আমাদের পুরো প্যানেলকে দিয়ে সকল হোসিয়ারী ব্যবসায়ী ভাইদের খেদমত করার সুযোগ দিবেন। আমাদের প্যানেলের পক্ষ থেকে একটাই অনুরোধ থাকবে আপনারা ভাল মানুষকেই বেছে নিবেন কোন বিতর্কিত ব্যাক্তিকে নয়।

এসময় প্রচারণাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ গ্রুপের পরিচালক পদ-প্রার্থী আব্দুস সবুর খান সেন্টু মনির হোসেন খান, মো.

দুলাল মল্লিক, আতাউর রহমান, মো.মিজানুর রহমান, আলহাজ্ব মো.মনির হোসেন, হাজী মো.শাহীন, মো.আব্দুল হাই, বৈদ্যনাথ পোদ্দার, মো.মাসুদুর রহমান, মো.পারভেজ মল্লিক ও এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী সাঈদ আহমেদ স্বপন, মো.নাসির শেখ, মো.বিল্লাল হোসেন, অনিল বাবু, হিরু শেখ ও মোঃ নাসিম আহমেদ।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৮ই জানুয়ারী প্রার্থীদের ক্রমিক নম্বরসহ তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ভোট গ্রহণ চলবে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এস স য় ব যবস আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

জেলা কৃষকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আলম মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমান, ফজলু মেম্বার, মনির মল্লিক, শাহাদাত হোসেন, ওবায়দুর রহমান, শাহ আল বেপারী, সেলিম হোসেন দিপু।

সংবাদ সম্মেলনে শাহীন মিয়া বলেন, কোন চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর এদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র যেকোনো অঙ্গ সংগঠনের পদে থাকতে পারে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হিসেবে আমার সংগঠনে যারা চাঁদাবাজ, দখলবাজ স্বৈরাচারের দোসর আমি তাদেরকে বহিষ্কার করেছি। 

আওয়ামীলীগের সাথে শাহীনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনাদের ব্যাপারে পাল্টা তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থানার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর, দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও সাংগঠনিক দূর্বলতার কারণে তাকে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ সালে সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। 

এছাড়াও বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে নজরুলের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা ছিল না। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম হত্যা মামলার আসামি রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের যোগসাজসে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের একাধিক মৌজার আবাদী জমিতে বালি ভরাট করে সাধারণ কৃষকের দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল। 

এছাড়াও অসহায় ও সাধারন মানুষের বসতবাড়ি সহ জবরদখল করে নেয় তারা। নজরুল দোসরদের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্যাতন করেছিল। এভাবে বিগত ১৭ বছরে স্বৈরাচার সরকারের আস্থাভাজন হয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন এই নজরুল। সে হলো মৌসুমী পাখি। 

তিনি বলেন, ১৭ টি বছর জুলুম নির্যাতন সহ্য করে এই নারায়ণগঞ্জে কৃষক দলকে হাতের মুঠোয় রেখেছি আজ সেই কৃষক দলের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করতে এই নজরুল স্বৈরাচারের সাথে হাত মিলিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের মানহানি করেছে।

আমি এরই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তার বিরুদ্ধে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি আমার হাইকমান্ডকে অবগত করেছি।

তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সার্জন মোমেনকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দলীয় শৃংখল বঙ্গের দায়ে ১০ই এপ্রিল সভাপতি পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। সে বিগত সতেরো বছর নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে। ৫ ই আগস্টের পর ৪০ বিঘা জমির উপর মাছের প্রজেক্ট দখল করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মোমেন। 

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় সে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন তার নিজের জন্য। এখনো সে এলাকায় সাধারণ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে এর যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে এসেছে এবং অনেক সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। যে সমস্ত মানুষ কোন দল করে না দল বুঝেনা। এ সমস্ত অভিযোগের কারণে তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নজরুলসহ কৃষকদলের বেশ কয়েকজন নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় শাহীনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে টাকার বিনিময়ে পুনর্বাসনসহ বেশ কিছু অভিযোগ  আনেন তারা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফ্যাসিস্টদের দোসররা বিভিন্ন ইস্যূতে পানি ঘোলা করতে চায়: মাও. জব্বার
  • ফ্যাসিস্টদের দোসররা বিভিন্ন ইসূতে পানি ঘোলা করতে চায়: মাও. জব্বার
  • চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
  • গাইবান্ধায় বাবা-মাকে মারধর করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, অভিযুক্ত আটক
  • মাও. রইস এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শহরে বিক্ষোভ
  • জেলা কৃষকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 
  • আড়াইহাজারে পাওয়ারলুম শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
  • চট্টগ্রামে ব্যাটরিচালিত রিকশা শ্রমিকদের সমাবেশ পণ্ড, আটক ৩
  • ৭ দফা দাবিতে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে ফটক সভা