ইয়াশ রোহান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী ভালোবাসা দিবসের জন্য জুটি বাঁধলেন । ‘তোমায় পাবো কি?’ শিরোনামের এ নাটকে দেখা যাবে তাদের রসায়ন। নাটকের পুরো শুটিং হয়েছে চট্টগ্রামে।

পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি বলেন, 'আমার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আদর ও যত্নে বানানো নাটক এটি। মায়া আর আবেগ দিয়ে নির্মাণের চেষ্টা করেছি। এটি আমার কাছে নতুন একটা এক্সপেরিমেন্ট। লেখা থেকে শুরু করে এখন পোস্টের কাজ অবধি রুদ্র ও চিত্রাকে আমার মনের ভেতরে ধারণ করে রেখেছি। দর্শকরা আমাদের কাজ পছন্দ করলেই সব কষ্ট সার্থক হবে।' 

নাটকে রুদ্র চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান। ছেলেটি গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে কষ্ট করছে। তার আশা, একটা জুতসই সুযোগ পেলেই ভাগ্যবদল হবে। সেই অপেক্ষায় আছে।

অন্যদিকে চিত্রা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তটিনী। মেয়েটি একটি ছিমছাম পরিবারে বেড়ে উঠেছে। রুদ্রর সঙ্গে তার কয়েক বছরের সম্পর্ক। এইভাবে ঘটতে থাকে নানান ঘটনা।

চিত্রা সিদ্ধান্ত নেয়, পোস্ট-গ্রাজুয়েশন করতে অস্ট্রেলিয়া যাবে। তবে যাওয়ার আগে বিয়ে করার চাপ দেয় পরিবার। চিত্রা তখন রুদ্রর কথা জানায়। কিন্তু তারা এই বেকার ছেলেকে মানতে নারাজ। একইভাবে রুদ্র পায়ের তলার মাটি শক্ত না থাকায় বিয়ে করতে রাজি হয় না। ফলে মেয়েটি কষ্ট নিয়ে চলে যায় বিদেশে। 

তাদের কি আদৌ দেখা হবে আবার? সেই উত্তর মিলবে নাটকে। চট্টগ্রামের সিআরবি, বাটালি হিল, পতেঙ্গা, বায়েজিদ লিংক রোড, পারকি বিচ, নিউ মার্কেট, চারুকলায় গত ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারি নাটকটির শুটিং করেন ইয়াশ রোহান ও তটিনী। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে নাটকটি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ