লর্ডস টেস্টে টস জিতে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড
Published: 10th, July 2025 GMT
টেস্ট সিরিজে এখনো কেউ এগিয়ে নেই। দুই দলই জিতেছে একটি করে ম্যাচ। এই অবস্থায় লর্ডসে শুরু হলো সিরিজ নির্ধারক তৃতীয় টেস্ট। আর সেই ম্যাচে টস ভাগ্য সহায় হলো ইংল্যান্ডের।
বেন স্টোকস বার্মিংহামের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। সেই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়াটা যে ভুল ছিল, তা ম্যাচ শেষে বুঝে গিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক। তাই লর্ডসে আর সে ভুল করলেন না। টস জিতে এবার ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
ইংল্যান্ড দলে জশ টংয়ের পরিবর্তে ফিরেছেন পেসার জোফ্রা আর্চার। ভারতীয় দলে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার জায়গায় ফিরেছেন জসপ্রিত বুমরাহ। যার প্রত্যাবর্তন বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় পেস আক্রমণের ধার।
আরো পড়ুন:
বৃষ্টি ভাঙবে নাকি ভারতের জয়ের স্বপ্ন?
৮০ বলের সেঞ্চুরিতে জেমির রেকর্ড, শতকের দেখা পেলেন ব্রুকও
এ রিপোর্ট লেখার সময় ইংল্যান্ড ৪০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান করেছে। বেন ডাকেট ২৩ ও জ্যাক ক্রাউলি ১৮ রান করে আউট হয়েছেন। দুটি উইকেটই নিয়েছেন নিতিশ কুমার রেড্ডি। জো রুট ৩৭ ও অলি পোপ ২৪ রানে ব্যাট করছেন।
সিরিজের বর্তমান চিত্র:
প্রথম টেস্ট (লিডস): ইংল্যান্ডের জয়।
দ্বিতীয় টেস্ট (বার্মিংহাম): ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ভারতের ৩৩৬ রানের রেকর্ড জয়।
তৃতীয় টেস্ট: আজ শুরু লর্ডসে, সিরিজে লিড নিতে মরিয়া দুই দলই।
বিশেষ করে বার্মিংহামের ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটিং ঝড়ে ইংল্যান্ডকে ভাসিয়ে দেন শুভমান গিল। যার ব্যাট থেকে আসে দুই ইনিংসে ২৬৯ ও ১৬১ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস। সঙ্গে ছিলেন আকাশ দীপ ও মহম্মদ সিরাজ, যারা বল হাতে জ্বলে ওঠেন।
ভারতের একাদশ:
যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, করুণ নায়ার, শুভমান গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, নীতিশ কুমার রেড্ডি, আকাশ দীপ, মোহাম্মদ সিরাজ ও জসপ্রিত বুমরাহ।
ইংল্যান্ডের একাদশ:
জ্যাক ক্রাউলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটরক্ষক), ক্রিস ওকস, ব্রাইডিন কার্স, জোফরা আর্চার ও শোয়েব বশির।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’