মাদারীপুর-২ (সদর-রাজৈর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খানের সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদারীপুর শহরের চাঁনমারী এলাকায় শাজাহান খানের নিজ বাসভবনের দরজায় নোটিশটি টাঙিয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় থানা-পুলিশ, স্থানীয় ব্যক্তিসহ মোট পাঁচজনের সাক্ষ্য নেয় দুদক। চিঠিতে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের বিবরণী দুদকের কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা না দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে দুদক।

দুদকের মাদারীপুর কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতির মাধ্যমে সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছেন—এমন একটি অভিযোগ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জমা পড়ে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে ঐশী খানকে হাজির হয়ে সম্পদের বিবরণী তুলে ধরে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্রধান কার্যালয়ে হাজির হননি তিনি। এরপর প্রধান কার্যালয় থেকে দুদক কর্মকর্তা জুয়েল আহম্মেদ নোটিশ নিয়ে মাদারীপুরে আসেন। সেই নোটিশ মাদারীপুর কার্যালয়ের সদস্যদের সহযোগিতায় শাজাহান খানের বাসভবনের দরজায় টাঙিয়ে দেওয়া হয়।

দুদকের সমন্বিত মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.

আক্তারুজ্জামান বলেন, নোটিশে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে ঐশী খানের সম্পদের বিবরণী তুলে ধরতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঐশী তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তালিকা দুদকের কাছে জমা না দিলে পরবর্তী সময়ে মামলা করে আইনি ব্যবস্থা নেবে দুদক।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

১২১ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে বারকিনের ৯ বছর ব্যবহার হওয়া ব্যাগ

ফ্যাশন ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়ল ফরাসি লাক্সারি ফ্যাশন হাউস হারমেসের আইকনিক বারকিন ব্যাগ। ব্রিটিশ অভিনেত্রী ও গায়িকা জেন বারকিনের জন্য তৈরি করা মূল ব্যাগটি প্যারিসে নিলামে বিক্রি হয়েছে ১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি দামে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২১ কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান সথবিজ।  
সোথেবি’স জানিয়েছে, ব্যাগটি কিনেছেন এক জাপানি সংগ্রাহক। আর এটি এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাগ সর্বোচ্চ দামে বিক্রির ঘটনা।

হারমেসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালে প্যারিস থেকে লন্ডনগামী একটি বিমানে জন্ম নেয় এই ব্যাগের ধারণা। ফ্লাইটে ব্রিটিশ অভিনেত্রী জেন বারকিনের পাশে বসেছিলেন হারমেসের তৎকালীন নির্বাহী জঁ-লুই দ্যুমার। সেদিন বারকিন তাঁকে বলেছিলেন, তিনি এমন একটি ব্যাগ খুঁজছেন, যা একই সঙ্গে স্টাইলিস্ট ও ব্যবহারযোগ্য—একজন তরুণী মা হিসেবে প্রয়োজনীয় সবকিছু বহন করা যাবে। সেখানেই দ্যুমার একটি কাগজে ব্যাগটির স্কেচ করেন। পরে হারমেস তা তৈরি করে বারকিনের জন্য, যার ডিজাইনে ছিল শিশুদের দুধের বোতল রাখার বিশেষ জায়গাও। ১৯৮৫ সালে হারমেস তাঁকে ব্যাগটি উপহার দেয় এবং পরে তার জন্য আরও চারটি ব্যাগ তৈরি করে।
প্রথম সেই ব্যাগটি ছিল তুলনামূলক বড়, বারকিনের নামের আদ্যক্ষর ‘জে.বি.’ খোদাই করা ছিল ফ্ল্যাপে (ঢাকনায়)—যা পরবর্তী মডেলগুলো থেকে ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। পরবর্তী সময়ে সেই ডিজাইনের ছোট সংস্করণ বাজারে ছাড়া হয়, যা বিশ্বজুড়ে ফ্যাশনপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

১৯৮৫ সালে হারমেস বারকিনকে ব্যাগটি উপহার দেয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১২১ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে বারকিনের ৯ বছর ব্যবহার হওয়া ব্যাগ
  • ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে এমন নৃশংসতার রাজনীতি চলতে পারে না’
  • নোটিশ গ্রহণ না করায় সাবেক এমপির বাড়ির ফটকে নোটিশ ঝুলাল দুদক
  • শাজাহান খানের মেয়ের সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকের নোটিশ
  • জুলাই আন্দোলনে হামলার অভিযোগে নোবিপ্রবি কর্মকর্তা আটক
  • আবহাওয়া কী বলছে? সমুদ্রে ৩ নাম্বার সংকেত, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা  
  • সোনারগাঁয়ে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা
  • চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা, ভূমিধসের আশঙ্কা
  • ২% শুল্ক কমানো হতাশাজনক