মহাকাশে দুটি ছায়াপথের বিরল সংঘর্ষ
Published: 10th, July 2025 GMT
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে মহাকাশে দুটি ছায়াপথের (গ্যালাক্সি) বিরল সংঘর্ষের ঘটনা জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। মহাজাগতিক এই সংঘর্ষের ফলে দূর থেকে ছায়াপথগুলোকে দেখতে অনেকটা প্যাঁচার চোখের মতো মনে হয়। বিজ্ঞানীরা এ সংঘর্ষকে ‘কসমিক আউল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁদের ধারণা, পৃথিবী থেকে প্রায় ১ হাজার ১০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে ছায়াপথগুলো। প্রতিটি ছায়াপথই চওড়ায় প্রায় ২৬ হাজার আলোকবর্ষ পর্যন্ত বিস্তৃত।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কসমিক আউলের এ ঘটনা দুটি ছায়াপথের সংঘর্ষের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। প্রতিটি ছায়াপথের কেন্দ্রেই একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল রয়েছে। ছায়াপথগুলোর সংঘর্ষের তথ্য জানতে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপসহ বিভিন্ন টেলিস্কোপের ধারণ করা ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর সেগুলো ডিপ ইমেজিং ও স্পেকট্রোস্কোপি ব্যবহার করে ছায়াপথের বিরল সংঘর্ষের তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে।
ছায়াপথের বিরল সংঘর্ষের বিষয়ে চীনের সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী মিংইউ লি বলেন, ‘আমরা কসমস ক্ষেত্র নামের একটি খুব সুপরিচিত অঞ্চলের রেডিও উৎস বিশ্লেষণ করেছি। সেখান থেকে এই গ্যালাক্সি জোড়া তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যায়। এই সংঘর্ষ প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ বছর আগে ঘটেছিল। এমন গ্যালাক্টিক সংঘর্ষ সাধারণত শতকোটি বছরের বেশি স্থায়ী হয়। ভবিষ্যতে দীর্ঘ সময় ধরে এ দৃশ্য দেখা যাবে। এই সংঘর্ষ বিক অঞ্চলে তারা গঠনের একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। সেখানে দ্রুত অনেক নতুন তারার জন্ম হচ্ছে।’
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, কসমিক আউলে প্রতিসাম্য দেখা যায়। একই ভর ও কাঠামোর দুটি ছায়াপথের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে নতুন তথ্য জানা সম্ভব। আর তাই ভবিষ্যতে দুটি ছায়াপথের সংঘর্ষের বিস্তারিত তথ্য জানার পাশাপাশি যমজ বলয় গঠন, জেট-ট্রিগার স্টারবার্স্টের ঘটনাও জানা যাবে।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রেপ্তারকৃতদের তদন্তে মালয়েশিয়াকে সহায়তা করবে বাংলাদেশ
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৫ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের অভিযোগ তদন্তে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ। শুক্রবার কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন হাজি হাসানের সঙ্গে এক বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ আশ্বাস দেন।
শুক্রবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কুয়ালালামপুরে ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে তাঁরা এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তথ্য ও তদন্তের ফলাফল বিনিময়ের মাধ্যমে অভিযোগের অভ্যন্তরীণ তদন্তে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চান। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দেন।
এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়ই বাংলাদেশে চলমান সংস্কার, রোহিঙ্গা সংকট, এলডিসি-পরবর্তী সহায়তা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিথা হেরাথ এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের উপমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধান পার্ক ইউনজুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ ২০০৬ সালে এআরএফের সদস্য হয়। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ফোরামটি প্রতিষ্ঠিত হয়।