Samakal:
2025-11-02@00:14:58 GMT

নির্বাচকের পদ ছাড়লেন হান্নান

Published: 2nd, February 2025 GMT

নির্বাচকের পদ ছাড়লেন হান্নান

জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে কাজ করার খুব ইচ্ছা ছিল হান্নান সরকারের। বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে ভালো কাজ করার পুরস্কারস্বরূপ প্রমোশন পেয়ে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হয়েছিলেন ২০২৪ সালে। গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কমিটিতে দুই বছর মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই নির্বাচকের পদ ছাড়লেন হান্নান। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে গতকাল পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি। 

বিসিবির একটি সূত্র জানায়, এক মাসের নোটিশে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে হান্নান সরকার নিজেও বিসিবির চাকরি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মূলত কোচিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার পরিকল্পনা থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এ ব্যাটার। খেলা ছাড়ার পর কোচিংকে পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। যদিও পরবর্তী সময়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের নির্বাচক হিসেবে বিসিবির চাকরিতে যোগ দেন হান্নান।

বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি ছিল হান্নানের। ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। প্রথম থেকেই এই বেতন আকর্ষণীয় মনে হয়নি তাঁর কাছে। নির্বাচক প্যানেল থেকে বাদ পড়ে গেলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে হয়েছে ১৭ টেস্ট আর ২০ ওয়ানডে খেলা এ ব্যাটারের কাছে। যে কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই নিজেই নির্বাচকের চাকরি ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। 

বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের খেলা চলাকালে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে একান্তে কথাও বলেছেন তিনি। নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাছের অনেকের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন হান্নান। নির্বাচকের চাকরি ছাড়ার পেছনে হান্নানের যুক্তি হলো, ‘আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচকের পদটি খুবই সম্মানজনক। কিন্তু বাস্তবতা হলো আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকার মতো না। প্রথমত বেতন কম, দ্বিতীয়ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। এ ধরনের চাকরিতে বেতন বেশি হলে ঠিক ছিল। দুই বা তিন মেয়াদে চাকরি করলে সঞ্চয় থাকত। এখন দিন এনে দিন খাওয়ার মতো। এরচেয়ে কোচিং করালে ভবিষ্যৎ আছে। মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ভাই আমাদের পথপ্রদর্শক। আশা করি, তিনি জাতীয় দলের প্রধান কোচ হবেন। ভালো কাজ করলে আমরাও একদিন জাতীয় দলে কাজ করার সুযোগ পেতে পারি। বিসিবিতে সম্মানজনক বেতন পেলে কোচ হিসেবে থাকতে চাই।’

বিপিএল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কাজ করা বড় দলের কোচরা ভালো সম্মানী পান। বিসিবিতে চাকরি করেও লিগে কাজ করার সুযোগ আছে। মিজানুর রহমান বাবুল ফরচুন বরিশাল এবং তালহা জুবায়ের খুলনা টাইগার্সের প্রধান কোচ। লেভেল টু কোচেস কোর্স করা হান্নানের বিশ্বাস সুযোগ পেলে ভালো করবেন তিনিও।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ ন ন ন সরক র জ ত য় দল র ক জ কর র র চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি কর্মীর বাড়ি থেকে ১১টি বন্দুক, ২৭টি দা-ছুরি উদ্ধার

চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের এক বিএনপির কর্মীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বন্দুকসহ বিপুল পরিমাণ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‍্যাব। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১১টি বন্দুক, ২৭টি দেশি ধারালো অস্ত্র, ৮টি ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও ১৫টি কার্তুজ। বিএনপির ওই কর্মীর নাম মুহাম্মদ কামাল(৫০)। তিনি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের ছেলে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী। এ ঘটনায় বিএনপির ওই কর্মীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের বাড়িতে র‍্যাব অভিযান চালায়। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কামাল ছাড়াও তাঁর চাচাতো ভাই মুহাম্মদ সোহেল (৪৮) ও পরিবারের এক কিশোর সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, অভিযানে গাঁজা ও বিদেশি মদও উদ্ধার করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির আঙিনা, পুকুর পাড় এবং আলমারি থেকে এসব অস্ত্র ও মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার বিএনপির কর্মী কামালের বিরুদ্ধে মারামারি ও চাঁদাবাজির তিনটি মামলা রয়েছে। তিনি গত বছর ৫ আগস্টের পর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। এলাকায় তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, তাঁরা কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত নন। ৫ আগস্টের পর নোয়াপাড়ায় চাঁদাবাজি ও মারামারির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল একটি পক্ষ। এসব অস্ত্র তাঁর বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন লুকিয়ে রেখেছে।

জানতে চাইলে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা আজ সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করেছেন। গ্রেপ্তার তিনজনকে থানা-পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা
  • বিএনপি কর্মীর বাড়ি থেকে ১১টি বন্দুক, ২৭টি দা-ছুরি উদ্ধার