জাতীয় দলের নির্বাচক পদ থেকে হান্নান সরকারের পদত্যাগ
Published: 2nd, February 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহকারী নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হান্নান সরকার পদত্যাগ করেছেন। ২০২৬ সাল পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তি থাকার পরেও তিনি সরে দাঁড়ানোর সিধান্ত নেন।দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র এক বছরের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করেছেন। রাইজিংবিডিকে হান্নান সরকার বলেছেন- কোচিং করানোর জন্য পদ ছেড়েছেন তিনি । বিসিবেতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে তার।
গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর সহকারী নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন হান্নান। জানা গেছে, হান্নান তার পদত্যাগপত্র বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে জমা দিয়েছেন।
বিসিবির একটি সূত্র জানায়, হান্নান সরকারের পদত্যাগ ছিল এক মাসের নোটিশের ভিত্তিতে। হান্নান নিজেও নিশ্চিত করেছেন যে তিনি বিসিবিতে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। নির্বাচক হিসেবে তিনি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার বেতনে নিযুক্ত ছিলেন, তবে তিনি এই বেতনটিকে আকর্ষণীয় মনে করেননি। নির্বাচকের পদ থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা এবং আর্থিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
বিপিএলে দল কমানোসহ সূচি পরিবর্তনের প্রস্তাব তামিমের
দেশ সেটেল নেই: পারিশ্রমিক ইস্যুতে মিরাজ
হান্নান সরকার বলেন, “নির্বাচকের পদটি সম্মানজনক হলেও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকার মতো নয়। বেতন কম এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, তাই এই ধরনের চাকরি আমার জন্য উপযুক্ত নয়। কোচিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আমি আগ্রহী, বিশেষ করে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ভাইয়ের মতো আমাদের পথপ্রদর্শকের সহযোগিতায়। আশা করি, আমি একদিন জাতীয় দলের কোচ হতে পারব।”
এছাড়া, তিনি আরো বলেন, “বিসিবিতে সম্মানজনক বেতন এবং স্থায়ী চাকরি পেলে আমি কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে চাই।”
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ন ন ন সরক র র পদত য গ
এছাড়াও পড়ুন:
বার্ন ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে ১ জন, আইসিইউতে ৩ জন
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে ৩৩ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে তিনজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এবং একজন লাইফ সাপোর্টে আছেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।
তিনি জানিয়েছেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জনের মধ্যে ২৭ জনই শিশু। তাদের মধ্যে তিনজন সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। ওই তিনজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। একটু কম গুরুতর ৯ জন সিভিআর ক্যাটাগরিতে আছে।
ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আরো জানান, আজ সোমবার আরো তিনজনকে রিলিজ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে, আবহাওয়া খারাপ থাকায় তাদের ড্রেসিং দরকার মনে করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। চলতি সপ্তাহে আরো কয়েকজনকে পর্যায়ক্রমে ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
মাইলস্টোনে দগ্ধদের মধ্যে এখন পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৮ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা জানাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।