বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন হান্নান সরকার। মাত্র এক বছর দায়িত্ব পালন করার পর কোচিং ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে পদত্যাগ করেছেন তিনি।  

অবসরের পর থেকেই কোচিংয়ে মনোযোগী ছিলেন হান্নান। বয়সভিত্তিক দলে সফলতার পর গত বছর জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল নির্বাচনেও ভূমিকা রেখেছিলেন। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র তিন সপ্তাহ আগে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন এই সাবেক ওপেনার।  

শনিবার রাতে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন হান্নান। তার এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ আর্থিক নিরাপত্তার অভাব ও দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ারের নিশ্চয়তা না থাকা। হান্নানের ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি ছিল, যেখানে তার মাসিক বেতন ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, এই বেতন তার কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়নি। দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক নিরাপত্তা না থাকায় তিনি নির্বাচকের চাকরি ছেড়ে কোচিং ক্যারিয়ারে ফিরতে চান।  

নির্বাচকের পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে হান্নান সরকার বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচকের পদটি অত্যন্ত সম্মানজনক। তবে বাস্তবতা হলো, আর্থিকভাবে এটি যথেষ্ট নিরাপত্তা দেয় না। চুক্তিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রে বেতন বেশি হলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু এই বেতনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা কঠিন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘কোচিং করালে ভবিষ্যৎ আছে। মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ভাই আমাদের পথপ্রদর্শক। আশা করি, তিনি একদিন জাতীয় দলের প্রধান কোচ হবেন। ভালো কাজ করলে আমরাও জাতীয় দলে কোচিংয়ের সুযোগ পেতে পারি। বিসিবিতে যদি সম্মানজনক বেতন পাওয়া যায়, তাহলে কোচ হিসেবে কাজ করতে চাই।’

এখন দেখার বিষয়, বিসিবি কাকে তার জায়গায় নিয়োগ দেয় এবং হান্নান সরকার কোচিং ক্যারিয়ারে কতটা সফল হতে পারেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ ন ন ন সরক র হ ন ন ন সরক র জ ত য় দল

এছাড়াও পড়ুন:

বার্ন ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে ১ জন, আইসিইউতে ৩ জন

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে ৩৩ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে তিনজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এবং একজন লাইফ সাপোর্টে আছেন।

সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।

তিনি জানিয়েছেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জনের মধ্যে ২৭ জনই শিশু। তাদের মধ্যে তিনজন সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। ওই তিনজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। একটু কম গুরুতর ৯ জন সিভিআর ক্যাটাগরিতে আছে। 

ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আরো জানান, আজ সোমবার আরো তিনজনকে রিলিজ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে, আবহাওয়া খারাপ থাকায় তাদের ড্রেসিং দরকার মনে করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। চলতি সপ্তাহে আরো কয়েকজনকে পর্যায়ক্রমে ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

মাইলস্টোনে দগ্ধদের মধ্যে এখন পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৮ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা জানাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বার্ন ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে ১ জন, আইসিইউতে ৩ জন