যে কারণে নির্বাচকের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন হান্নান সরকার
Published: 2nd, February 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন হান্নান সরকার। মাত্র এক বছর দায়িত্ব পালন করার পর কোচিং ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
অবসরের পর থেকেই কোচিংয়ে মনোযোগী ছিলেন হান্নান। বয়সভিত্তিক দলে সফলতার পর গত বছর জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল নির্বাচনেও ভূমিকা রেখেছিলেন। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র তিন সপ্তাহ আগে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন এই সাবেক ওপেনার।
শনিবার রাতে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন হান্নান। তার এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ আর্থিক নিরাপত্তার অভাব ও দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ারের নিশ্চয়তা না থাকা। হান্নানের ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি ছিল, যেখানে তার মাসিক বেতন ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, এই বেতন তার কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়নি। দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক নিরাপত্তা না থাকায় তিনি নির্বাচকের চাকরি ছেড়ে কোচিং ক্যারিয়ারে ফিরতে চান।
নির্বাচকের পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে হান্নান সরকার বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচকের পদটি অত্যন্ত সম্মানজনক। তবে বাস্তবতা হলো, আর্থিকভাবে এটি যথেষ্ট নিরাপত্তা দেয় না। চুক্তিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রে বেতন বেশি হলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু এই বেতনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোচিং করালে ভবিষ্যৎ আছে। মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ভাই আমাদের পথপ্রদর্শক। আশা করি, তিনি একদিন জাতীয় দলের প্রধান কোচ হবেন। ভালো কাজ করলে আমরাও জাতীয় দলে কোচিংয়ের সুযোগ পেতে পারি। বিসিবিতে যদি সম্মানজনক বেতন পাওয়া যায়, তাহলে কোচ হিসেবে কাজ করতে চাই।’
এখন দেখার বিষয়, বিসিবি কাকে তার জায়গায় নিয়োগ দেয় এবং হান্নান সরকার কোচিং ক্যারিয়ারে কতটা সফল হতে পারেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ ন ন ন সরক র হ ন ন ন সরক র জ ত য় দল
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের ওপর হামলা করে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিল জনতা, গ্রেপ্তার ৩
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা করে আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই নারীসহ তিনজনকে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) তানভীর মেহেদী, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খোকন হোসেন ও রিংকু বড়ুয়া, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর হোসেন ও মুজিবুর রহমান। তাঁদের ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন জয়নাল আবদীন (২০), রুজিনা আক্তার (৩২) ও মোসাম্মৎ রূপধন (৪৮)। তাঁরা জয়নগর গ্রামেরই বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, রাতে ওই এলাকায় মোহাম্মদ আলমগীর নামের এক মাদক কারবারিকে ধরতে তারা অভিযান চালায়। আলমগীরকে আটক করা হলে স্থানীয় প্রায় অর্ধশত বাসিন্দা জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, এ ঘটনায় আহত এসআই তানভীর মেহেদী বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।