যখন জনগণের মূল্য থাকে না, তখন সরকার স্বৈরাচার হয়
Published: 8th, February 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেছেন, “শুধু যুব সমাজই নয়, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও রাজনীতিবিদসহ সবাইকে শেখ হাসিনার রোষানলে পড়তে হয়েছিল। কেউ মুখ খুলতে পারেনি। কথা বললে- খুন, গুম ও নির্যাতন করা হয়েছে। হাসিনা সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। দেশে যখন জনগণের মূল্য থাকে না তখন সরকার স্বৈরাচার হয়ে যায়।”
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের তিন স্কুলের যৌথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আবু নাসের বলেন, “গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। শিক্ষার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও লুটপাট করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
অটোরিকশার গতিরোধ করে যুবদল কর্মীকে গুলি
আমাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে: আরিফুল হক
চটুয়া চরগোপালপুর নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দাতা আব্দুর রব হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুল কবির ফরহাদ, সমাজসেবক ফারুক ইসলাম, দেলোয়ায়ার হোসেন, জিয়াউর রহমান খান, আলমগীর হাওলাদার, সিদ্দিক ঘরামী।
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব