বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং নেতৃত্ব দিয়েছে। এরপর নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আর এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান। 

আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন কোন খারাপ ব্যক্তি কে বিএনপির সদস্য করা যাবে না। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের যে সকল নেতাকর্মীরা আপনাদের উপরে জুলুম নির্যাতন ও ভোল্ড ডেজার চালিয়েছিলেন তাদেরকে অবশ্যই বিএনপির সদস্য হতে দিবেন না। 

আপনারা অবশ্যই সমাজের যারা ভাল ও সাধারণ মানুষ যারা বিএনপিকে পছন্দ করেন এবং যারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও মাদকের সাথে সম্পৃক্ত না তাদেরকে বিএনপি সদস্য করবেন। আর অনুপ্রবেশকারীরা যাতে করে কোন প্রকার দলে ঢুকতে না পারে সে বিষয়টা আপনারা খেয়াল রাখবেন। 

আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির আওতাধীন মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীনিবাসদী ইউনিয়ন মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

তিনি বলেন, আড়াই হাজারে জনগণ আড়াইহাজারের বিএনপি নেতাকর্মীরা আপনারা কেউ মনোনয়ন নিয়ে চিন্তা করবেন না। মনোনয়ন নিয়ে চিন্তা করবেন জননেতা তারেক রহমান।

বাংলাদেশের কোন জায়গায় তাকে তিনি মনোনয়ন দিবেন এবং কোন জায়গায় কাকে তিনি এমপি বানাবেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কাকে তিনি মনোনয়ন দিবে ভোটে নির্বাচিত করে নিয়ে আসবেন সেটা চিন্তা করবেন আমার নেতা আমার অভিভাবক আপনাদের নেতা আমাদের সকলের অভিভাবক জননেতা তারেক রহমান।

১৮ সালে তো আমি নির্বাচন করেছি কে মনোনয়ন দিয়েছেন আপনারা সবাই তা জানেন। সুতরাং আপনারা সেই বিষয়ে চিন্তা না করে মাঠের সময় দিন দলের জন্য কাজ করেন। জনগণকে পাশে রাখেন জনগণের সাথে থাকেন। আমাদের নেতা জানেন কে আড়াইহাজারে কাজ করেছেন। বিগত দিনে কে দলের সাথে ছিল এবং দলের জন্য কাজ করেছে। 

তিনি আরও বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত আড়াইহাজার গড়তে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কোন প্রকার মাদককে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। এবং কোন প্রকার চাঁদাবাজকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। সন্ত্রাসী ও লুটতরাজকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। সম্মানিত দল হলো বিএনপি। এদেশে জনগণ হলো বিএনপি। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ অপরাধ করলে তার দায়ভার কিন্তু বিএনপি নিবে না। 

মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুম শিকারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আঃ মান্নান চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেকসহ আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ব এনপ র র রহম ন প রক র আম দ র ক জ কর সদস য আপন র করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রয়োজন অনুসারে রাষ্ট্রকাঠামোর পরিবর্তনে সচেতনভাবে এগোচ্ছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

প্রয়োজন অনুসারে রাষ্ট্রকাঠামোর পরিবর্তনে বিএনপি সচেতনভাবে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘জনগণের যেটা প্রয়োজন, যুগের সঙ্গে সঙ্গে যে পরিবর্তনগুলো আনা দরকার, রাষ্ট্রকাঠামোর যে পরিবর্তন আনা দরকার, সে বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সচেতন। সচেতনভাবেই সামনের দিকে এগোচ্ছি।’

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। ‘পদ্মা ব্যারাজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

দ্বিতীয় পদ্মা সেতু এবং পদ্মা ব্যারাজ এখন সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। একই সঙ্গে তিনি সাতবার ফিজিবিলিটি স্টাডি (প্রস্তাবিত প্রকল্পের কার্যকারিতা এবং বাস্তবতার মূল্যায়ন) হলেও এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তের জায়গায় আসতে না পারাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এ জন্য রাজনৈতিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন। এটি তখনই তৈরি হবে, যখন জনগণের মধ্য থেকে এ দাবি উঠে আসবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনেক আগেই দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর অঙ্গীকার করেছিলেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বহু অংশ ছেড়ে মানুষ চলে যাচ্ছে। বাসের উপযোগী আর থাকছে না। পরবর্তী সরকারগুলো শুধু নয়, জনগণেরও এ বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ থাকা উচিত।

পরবর্তী সরকারগুলোকে এ বিষয়ে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা ট্রানজিশন পিরিয়ডে আছি। আজ একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। অভূতপূর্ব ছাত্র গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছিল। সেই ঐক্যকে সামনে নিয়ে আমরা সবাই যদি মূল বিষয়গুলোকে সামনে আনতে পারি, চিন্তার ঐক্য যদি থাকে, তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা সফল হব।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সবকিছুই নির্ভর করবে মানুষের ওপর। ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশের মানুষ পারে। সেটি একাত্তর সালে প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি চব্বিশেও তা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের পালস আমি বুঝি। দেশের মানুষ উন্নতি চায়, ওপরে উঠতে চায়, সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ চায়। সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সব বিষয়ের সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে।’

আয়োজক কমিটির সভাপতি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ামের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, শিক্ষক ও গবেষক অধ্যাপক আইনুন নিশাত, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্থানীয় শাসনব্যবস্থায় নাগরিকেরা কোথায়
  • লাঙ্গল মার্কার কেউ বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না : টিপু 
  • পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকার জরুরি: ফখরুল
  • প্রয়োজন অনুসারে রাষ্ট্রকাঠামোর পরিবর্তনে সচেতনভাবে এগোচ্ছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
  • দুই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ
  • জুলাই আন্দোলনের মূল নায়ক তারেক রহমান: আমীর খসরু
  • রাঙামাটিতে এপিবিএনের প্রথম ক্যাম্প উদ্বোধন
  • নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানি না হন, সে জন্য মামলার তদন্তে সময় লাগছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • কয়েকজন ব্যক্তিকে বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনে দেশ চালানো যায় না: মির্জা ফখরুল