ভারতে কর্মী নিয়োগ শুরু করেছেন ইলন মাস্ক, খুশি নন ট্রাম্প
Published: 21st, February 2025 GMT
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে দেশে ফেলার পর ভারতে কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে বৈদ্যুতিক গাড়ির কোম্পানি টেসলা। অর্থাৎ ইলন মাস্কের কোম্পানি ব্যবসা শুরু করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ভারতের চাওয়া অনুসারে ভারতের মাটিতে কারখানা করা হবে কি না, তা পরিষ্কার জানান না গেলেও সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, ভবিষ্যতে ভারতের মাটিতে তৈরি হবে টেসলার কারখানাও। তা না হলে এ রকম আগেভাগে লোক নিয়োগ শুরু হতো না। কিন্তু সমস্যা হলো, ভারতে টেসলার কারখানা তৈরির প্রসঙ্গে বিরক্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি মাস্ককে পাশে বসিয়েই। মাস্ক এখন খোদ ট্রাম্প সরকারের দক্ষতাসংক্রান্ত দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘটনাচক্রে তারপরই ভারতে নিয়োগ শুরু করেছে টেসলা। সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাস্কের এ সিদ্ধান্তে আক্ষেপ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। বলেছেন, ‘বিশ্বের সব দেশ আমাদের থেকে সুবিধা নেয়। সেটা তারা নেয় শুল্কের মাধ্যমে। ভারতের মতো দেশে গাড়ি বিক্রি করা অসম্ভব।.
সংবাদে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিসংক্রান্ত বৈঠক এবং পাল্টা আমদানি শুল্কের বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নেওয়া হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৫০ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করবে দুই দেশ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম
জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’
তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’
তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’
সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’