কোহলি-টেন্ডুলকারের মধ্যে তুলনায় রাজি নন গাভাস্কার, কেন
Published: 28th, February 2025 GMT
শচীন টেন্ডুলকার আর বিরাট কোহলির মধ্যে কে সেরা—এই আলোচনা নতুন নয়। অর্জনে, কীর্তিতে কোথাও টেন্ডুলকার এগিয়ে, কোথাও–বা কোহলি। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কোহলি পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার পর দুজনের মধ্যে কে সেরা সেই আলোচনা নতুন করে গতি পেয়েছে।
তবে দুই কিংবদন্তীর মধ্যে পার্থক্য করতে রাজি নন সুনীল গাভাস্কার। ভারতের এই সাবেক ক্রিকেটার মনে করেন টেন্ডুলকার ও কোহলি নিজেদের জায়গায় আলাদা। ভিন্ন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের মধ্যে তুলনা টানাকে ‘উপমহাদেশীয় দুর্বলতা’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
‘ড্রেসিংরুম শো’তে অংশ নিয়ে গাভাস্কার যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ‘আমি কখনোই প্রজন্মের মধ্যে তুলনা করতে চাই না। কারণ, খেলার কন্ডিশন ভিন্ন থাকে, পিচ ভিন্ন থাকে, প্রতিপক্ষ ভিন্ন থাকে। যে কারণে ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের মধ্যে তুলনা করা খুবই কঠিন। আমার মতে তুলনা করাটা উপমহাদেশের দুর্বলতা।’
আমরা সব সময়ই খেলোয়াড়দের মধ্যে তুলনা করি। কিন্তু আপনারা কি কখনো এমন শুনে থাকেন যে গ্রেগ চ্যাপেলের চেয়ে রিকি পন্টিং ভালো।সুনীল গাভাস্কারতিন সংস্করণ মিলিয়ে ১০০ সেঞ্চুরি করা টেন্ডুলকারের সঙ্গে কোহলির তুলনা টানা হয়ে থাকে, বিশেষভাবে ওয়ানডের জন্য। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো টেন্ডুলকার ৪৫২ ইনিংসে করেছেন ১৮৪২৬ রান, বিপরীতে ২৮৭ ইনিংসে ১৪০৮৫ রান হয়ে গেছে কোহলির। সেঞ্চুরিতে অবশ্য কোহলি এখনই এগিয়ে। টেন্ডুলকারের ৪৯ ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে কোহলির এরই মধ্যে ৫১ সেঞ্চুরি হয়ে গেছে।
আরও পড়ুনসুনীল গাভাস্কার হয়ে দেখতে পারেন সাকিব–সৌম্য২৬ অক্টোবর ২০২১তবে টেন্ডুলকার-কোহলির মধ্যে কে সেরা, এই আলোচনা উঠলেও উপমহাদেশের বাইরে এমন কিছু হয় না বলে মনে করেন গাভাস্কার। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ১০ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছানো এই ব্যাটসম্যান উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমরা সব সময়ই খেলোয়াড়দের মধ্যে তুলনা করি। কিন্তু আপনারা কি কখনো এমন শুনে থাকেন যে গ্রেগ চ্যাপেলের চেয়ে রিকি পন্টিং ভালো। কেউই এমন তুলনা করে না। যারা বর্তমান ক্রিকেটার, তাদের বর্তমান হিসেবে বিবেচনা করুন। তুলনা করবেন না।’
আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফি: গ্যালারিতে ইফতার পাবেন দর্শক৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক হল র
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।
বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।
যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।