বুটেক্স বাঁধন
স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’ ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ লাখের অধিক ব্যাগ রক্ত দিয়েছে। ‘একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন’ স্লোগানকে সামনে রেখে সংগঠনটি দেশের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। বর্তমানে দেশের মোট ৫৪টি জেলায় ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাঁধনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সম্পূর্ণরূপে অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ এবং স্বেচ্ছাসেবী এই সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণ প্রজন্মকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করে চলেছে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) ২০০৬ সালের ২৪ মে বাঁধনের কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৮ বছরে ধরে নিরলসভাবে মানবতার সেবার জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি। বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ইমন কুমার সাহা এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন আফিফ ইসলাম সাজিদ। বুটেক্সের সিনিয়র হোক কিংবা জুনিয়র যখনই জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন হয় তখনই সবারই নির্ভরতার জায়গা বুটেক্স বাঁধন।
দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাওয়া এই সংগঠনটি শুধু রক্ত ব্যবস্থা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং শীতকালে ও ঈদে অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, ক্যাম্পাসের সব শিক্ষার্থী-বাঁধনকর্মী-উপদেষ্টাদের নিয়ে ইফতার আয়োজন, বার্ষিক ভ্রমণ, নবীন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ব্লাড গ্রুপিং, রক্তদাতাদের সংবর্ধনা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করে এই সংগঠনটি। বছরজুড়ে বাঁধনের নানা আয়োজন থাকলেও তাদের প্রধান আয়োজন হলো বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দাতা সংবর্ধনা ও নবাগত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান। ২৯তম ব্যাচের মো.
সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব
‘স্টেপস টুওয়ার্ড ইয়োর ড্রিম’ স্লোগানে ২০১২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একঝাঁক স্বপ্নবাজ তরুণের হাতে গড়ে ওঠে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ারবিষয়ক সংগঠন ‘সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব’। পড়ালেখা শেষ করে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাবেন নাকি বিসিএস ক্যাডার, ব্যাংকার, করপোরেট চাকরি, উদ্যোক্তা হবেন– এসব নিয়ে থাকেন দ্বিধাগ্রস্ত। আর এমন সিদ্ধান্তহীনতায় নষ্ট হয়ে যায় অনেকটা সময়। এসব শিক্ষার্থীকে সহায়তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। শুরু থেকে ৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি সদস্য ক্লাবটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাবটি প্রতিবছর ক্যাম্পাসে ‘জব ফেস্ট’ বা ‘চাকরি মেলার’ আয়োজন করে। সংগঠনটি নবীন শিক্ষার্থীদের তিনটি ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা এবং একটি বিষয়ের ওপর প্রেজেন্টেশন নিয়ে ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ করে থাকে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘মাস্টারমাইন্ড’ নামে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে তারা। প্রতি সপ্তাহে কুইজ প্রতিযোগিতা, গবেষণা-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ধারণার জন্য ‘রিসার্চ টক’, শিক্ষা, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে ‘নলেজ টক’ নামে সেমিনার আয়োজন করে।v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স গঠনট র জন য ক জ কর স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদলের দেওয়া বিবৃতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি: ডুজা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদলের কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সংগঠনটির দেওয়া বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে ডুজার সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি ও সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান ছাত্রদলের এমন বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগ করে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সরিয়ে নেওয়া, বিবৃতিতে সংবাদকর্মীদের নিয়ে আপত্তিকর শব্দচয়নের মতো আচরণকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে দাবি করেছে ডুজা।
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে পাণ্ডুলিপিবিষয়ক কর্মশালা শুরু
ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে আইডিইএ পরিচালকের সাক্ষাৎ
সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদলের কর্মসূচি নিয়ে ‘আওয়ামী এমপিকে পুনর্বাসন/ভাগ বাটোয়ারা দ্বন্দ্বে জাবিতে ভ্যাকসিন কর্মসূচি স্থগিত’ শিরোনামে জাগোনিউজ২৪.কম-এ সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদকে ঘিরে একটি বিবৃতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। যেখানে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ কিছু শব্দচয়ন করে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে ডুজা নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা মেনে নিউজ করার পরেও দু’একটি গণমাধ্যমের উপর ছাত্রদলের প্রভাব খাটিয়ে সংবাদ সরিয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি। গত ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।
বিবৃতিতে আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টরা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবেন। কেউ নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত মনে করলে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিকার চাইবেন। কিন্তু ছাত্রদলের এ ধরনের আচরণ আমাদের সে আকাঙ্ক্ষাকে আশাহত করেছে।
ডুজা নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশের পর জাগোনিউজ২৪.কম-এর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সৈকত ইসলামকে ‘সময়ের আলো’র স্টাফ রিপোর্টার সাব্বির আহমেদ নামে একজন ফোন দিয়ে চাপ প্রয়োগেরও নিন্দা জানাই।
নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম কর্তৃক সাব্বির আহমেদের অপেশাদার ও অনৈতিক আচরণের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী