ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা মার্কিন কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) অভিযোগ করেছে, ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনে ভারতকে কালো তালিকাভুক্ত করা উচিত। এছাড়া খালিস্তানপন্থী নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ততা রয়েছে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)। তাই প্রতিষ্ঠানটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।

মঙ্গলবার ইউএসসিআইআরএফ তাদের নতুন প্রতিবেদনে এসব অভিযোগ ও সুপারিশ করেছে।

মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি নিয়মিত, চলমান এবং গুরুতর ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনে জড়িত। ২০২৪ সালের জুনে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দল হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছ থেকে ভোট আদায়ের জন্য মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যবহার করেছিল। এই অপকর্ম নির্বাচনের আগে এবং পরে উভয় ক্ষেত্রেই নজরদারি এবং সাম্প্রদায়িক আক্রমণকে উস্কে দেয়।

নির্বাচনের পরে বিজেপি সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পক্ষে কথা বলার জন্য মানবাধিকার কর্মী, নাগরিক সমাজের সদস্য এবং সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য আইনের অপব্যবহার করেছে। দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ অসংখ্য ভবন কর্তৃপক্ষ সংখ্যালঘুদের সম্পদ ধ্বংস ও বাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছিল। বিতর্কিত রাম মন্দিরটি একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের উপর নির্মিত হয়েছিল এবং মন্দিরের পবিত্রীকরণের পরে সংখ্যালঘুদের উপর ধারাবাহিক আক্রমণ চালানো হয়েছিল। বিজেপি শাসিত ফেডারেল সরকার এবং তার প্রাদেশিক মিত্ররাও ইচ্ছামত ধর্মান্তর বিরোধী আইন পাস করেছে।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র-এর এজেন্টরা বিদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে শিখদের উপর আক্রমণে জড়িত। ২০২৩ সালে নিউইয়র্কে একজন মার্কিন নাগরিককে হত্যা করা হয়েছিল এবং অভিযোগ রয়েছে ‘র’ এর অভিযানের সময় তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালিস্তানপন্থি নেতাকে হত্যায় প্রধান সন্দেহভাজন বিকাশ যাদবসহ ‘র’ এজেন্টদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং যুক্তরাষ্ট্রে  সংস্থার কর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভারতকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের জন্য কালো তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র উপর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ