মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতু এলাকায় কাগজের কার্টনের ভেতর থেকে পলিথিন ও স্কচটেপে প্যাঁচানো অবস্থায় খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বেলা তিনটার দিকে পদ্মা সেতু সংলগ্ন মেদিনী মন্ডল এলাকার একটি রেস্তরাঁর পাশ থেকে মরদেহের দুটি টুকরো উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে লৌহজংয়ে পদ্মা সেতুর মেদিনি মন্ডল এলাকার খান বাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে মাওয়া বাজার যাওয়ার সার্ভিস সড়কের নিচে কাগজের একটি কার্টন পড়ে ছিল। কার্টনের পাশেই একটি অভিজাত রেস্তারাঁ রয়েছে। ওই কার্টনের পাশে মাছি উড়ছিল। সেখান থেকে উৎকট গন্ধ বের হচ্ছিল। কেউ কেউ এটি রেস্তরাঁর ফেলে দেওয়া পচা বর্জ্যও মনে করে। তবে সময়ের ব্যবধানে সেখানে উৎসুক লোকজন জড় হতে থাকে।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ তীব্র হয়। বেলা তিনটার দিকে কার্টন থেকে পলিথিন ও স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো দুটি পুটলি বের করা হয়। ওই পুটলির একটির অংশ কাটা হলে সেখানে মানুষের শরীরের খণ্ডিত অংশ দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

বিষয়টি জানতে পেরে মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশ ও পদ্মা উত্তর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, “আমরা অজ্ঞাত ওই লাশের মাথা ও শরীরের কিছু অংশ পেয়েছি। মাথা দেখে মনে হচ্ছে এটি কোন পুরুষের মরদেহ। যার চুল ছোট ছোট। লাশের আরও কিছু অংশ কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় পাওয়া গেছে। সেখানে ক্রাইম সিনের একটি দল রয়েছে। সে দলটি আমাদের এখানেও আসবে। বিস্তারিত পরে বলতে পারব।

ঢাকা/রতন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র টন র একট

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদ থেকে চার জেলেকে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় নাফ নদ থেকে চার জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের দমদমিয়া সংলগ্ন লাল দ্বীপ নাফনদে এ ঘটনা ঘটে।

অপহৃত জেলেরা হলেন, আরাফাত উল্লাহ (২১), আনিস উল্লাহ (২২), মো. জাবের (১৪), আনোয়ার সাদেক (২৭)। তারা সবাই টেকনাফের জাদিমুড়া ২৭ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফের জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ নুর বলেন, প্রতি দিনের মতো ড্রামের ভেলা দিয়ে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় নাফনদে শিকারে যায় জেলেরা। এসময় মিয়ানমার থেকে এসে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নৌকাসহ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এতে আরও বেশ কয়েকজন জেলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। 

স্থানীয় জেলে মোহাম্মদ আলম বলেন, আরাকান আর্মির কারণে জেলেদের সব সময় আতঙ্কের মধ্য থাকতে হয়। প্রায় সময় জেলে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। আজকেও চার জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ