ফেসবুকে বন্ধুতালিকা লুকিয়ে রাখবেন যেভাবে
Published: 11th, April 2025 GMT
ফেসবুকের বন্ধুতালিকায় পরিচিতদের পাশাপাশি পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়রাও যুক্ত থাকেন। তবে ফেসবুকের বন্ধুতালিকা পরিচিতদের পাশাপাশি অপরিচিতরাও দেখতে পারেন। তাই এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে অনেকে প্রয়োজন ছাড়াই অন্যের পরিচিত ব্যক্তিদের বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠিয়ে থাকেন। এতে মাঝেমধ্যেই বিব্রতকর সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। ফেসবুকের গোপনীয়তা সেটিংস পরিবর্তন করে চাইলেই নিজের বন্ধু তালিকা লুকিয়ে রাখা যায়।
কম্পিউটার থেকেবন্ধুতালিকা লুকিয়ে রাখার জন্য প্রথমে কম্পিউটার থেকে ডান পাশের ওপরে থাকা ফেসবুকের প্রোফাইল ছবিতে ক্লিক করে ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ অপশনে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সেটিংসে ক্লিক করে বাঁ পাশের নিচে থাকা অডিয়েন্স অ্যান্ড ভিজিবিলিটি বিভাগে থাকা ‘হাউ পিপল ফাইন্ড অ্যান্ড কন্টাক্ট ইউ’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘হু ক্যান সি ইউর ফ্রেন্ড লিস্ট’ থেকে পছন্দের অপশন নির্বাচন করতে হবে। ‘পাবলিক’ অপশন নির্বাচন করলে ফেসবুকে যেকোনো ব্যক্তি বন্ধু তালিকা দেখতে পারবেন। তবে ‘ফ্রেন্ডস’ নির্বাচন করলে ফেসবুক বন্ধুরা এবং ‘অনলি মি’ নির্বাচন করলে শুধু নিজে বন্ধুতালিকা দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুনআপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কি অন্য কেউ লুকিয়ে ব্যবহার করছে১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪স্মার্টফোন থেকেবন্ধুতালিকা লুকিয়ে রাখার জন্য স্মার্টফোন থেকে ফেসবুক অ্যাপে প্রবেশ করে ওপরের ডানদিকে থাকা প্রোফাইল ছবিতে ট্যাপ করতে হবে। এরপর নিচে স্ক্রল করে সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসিতে ক্লিক করে সেটিংস নির্বাচন করতে হবে। এরপর নিচে থাকা ‘অডিয়েন্স অ্যান্ড ভিজিবিলিটি’ অপশনে ক্লিক করে ‘হাউ পিপল ক্যান ফাইন্ড অ্যান্ড কন্টাক্ট ইউ’ নির্বাচন করতে হবে। এবার পরের পৃষ্ঠায় ‘হু ক্যান সি ইউর ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে কাঙ্ক্ষিত অপশন নির্বাচন করতে হবে।
আরও পড়ুনফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হলে যা করবেন৩১ ডিসেম্বর ২০২৩.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বন ধ ত ল ক ক ল ক কর ফ সব ক র র বন ধ পর চ ত
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।