জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া শাখার নেতাকর্মীরা এক ঈদ পুনর্মিলনীতে অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম ঈদ পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তৃতায় তিনি বলেন, সবাই বলছেন এবারের ঈদ ছিল স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশের আনন্দময় ঈদ। কিন্তু আমার ঈদটা আনন্দের যায়নি, কারণ এবার এতজন সন্তানহারা মা, স্বামীহারা স্ত্রী, বাবাহীন সন্তান বিষন্ন ইফতার-সাহরির রমজান পার করে ঈদের সম্মুখীন হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সদস্য সুলতান মারুফ তালহা ঈদ পুনর্মিলনীতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া শাখার সদস্য সচিব মো.

মোস্তাফিজুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা রেজাউল করিম রিন্টু, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেল, বাগোয়ান কেসিপিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম, শামসুদ্দিন স্ট্যালিন, মিরপুরের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, সাংবাদিক ইয়াসির আরাফাত, সিয়াম, জুলিয়ান ই আযম, লিমন আহমেদ, অ্যাডভোকেট রূপালী খাতুন, সাব্বির আহমেদ প্রমুখ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় আবার জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণ, নিহত ৩৮

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় জ্বালানিবাহী একটি ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৮ জন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দেশটির নাইজার অঙ্গরাজ্যের এজ্জা গ্রামে কাচা-আগাই সড়কে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরো বহু মানুষ আহত হয়েছেন। 

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটিতে একই ধরনের দুটি ঘটনায় অন্তত ১১৬ জন জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণে ১৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।

আরো পড়ুন:

নোয়াখালীতে বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, আহত ৪

নোয়াখালীতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চিকিৎসাধীন ভাই-বোনের মৃত্যু

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার জ্বালানি বোঝাই একটি ট্যাংকার সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে উল্টে যায়। এরপর বিপুল পরিমাণ তেল রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের বহু মানুষ তখন ট্যাংকার থেকে ছড়িয়ে পড়া জ্বালানি সংগ্রহে ছুটে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে, মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে যায় আশপাশের সবাই।

ফেডারেল রোড সেফটি কর্পসের (এফআরএসসি) নাইজার শাখার কমান্ডার হাজিয়া আইশাতু সাদু বলেন, “দুর্ঘটনাস্থলে এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। এই দুঃখজনক ঘটনায় ব্যস্ত ওই মহাসড়কে মারাত্মক যানজট তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে সড়কের খারাপ অবস্থার কারণে।”

নাইজার অঙ্গরাজ্যের গভর্নর উমারু বাগো এক বিবৃতিতে বলেন, মানুষ এখনও ঝুঁকি জেনেও উল্টে যাওয়া ট্যাংকার থেকে তেল সংগ্রহের চেষ্টা করছে-এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও হতাশাজনক। এটি আমাদের জন্য আরো একটি বেদনাদায়ক ও কঠিন ট্র্যাজেডি।

গত বছর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু জ্বালানি ভর্তুকি তুলে দেওয়ার পর থেকে দেশটিতে তেলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ফলে অনেক দরিদ্র মানুষ এখন বিপজ্জনকভাবে উল্টে যাওয়া ট্যাংকার থেকে জ্বালানি সংগ্রহের চেষ্টা করে।

পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণ এবং সড়ক দুর্ঘটনা বেশ সাধারণ ঘটনা। প্রায় সময়ই রাস্তার খারাপ অবস্থা এবং খারাপ ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যানবাহনের কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ