অ্যাওয়ার্ড শোয়ে যাওয়ার আগে আমার জ্বর আসে: সাফা কবির
Published: 28th, November 2025 GMT
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবির। টেলিভিশনের পাশাপাশি ওটিটিতেও কাজ করছেন। যদিও বড় পর্দায় এখনো পা রাখেননি। প্রায় এক যুগের ক্যারিয়ারে অনেক দর্শকপ্রিয় কাজ উপহার দিয়েছেন; কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কারও পেয়েছেন।
তবে সাফা কবির তার একটি গোপন খবর প্রকাশ করলেন। একটি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এই অভিনেত্রী বলেন—“অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে আমার জ্বর আসে।”
আরো পড়ুন:
বাবা হলেন নিলয় আলমগীর
শরীরে সংখ্যা লেখে কেন ছবি পোস্ট করছেন অভিনেত্রীরা?
সাফা কবিরের এমন মন্তব্যে হতবাক সঞ্চালক। কিন্তু এমনটা কেন হয়? জবাবে সাফা কবির বলেন, “কতগুলো স্টার, কত মানুষের সঙ্গে দেখা হবে। আমার লিটারিলি জ্বর আসে। বিশ্বাস করো ভাইয়া। আমি খুবই নার্ভাস থাকি, খুবই চিন্তিত থাকি।”
অ্যাওয়ার্ড শোয়ের কয়েক মাস আগে থেকে সাধারণত তারকারা পোশাক প্রস্তুত করতে থাকেন। অনুষ্ঠানের দিন সকাল থেকে মেকআপ নিতে থাকেন। অথচ তোমার জ্বর আসে? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে সাফা কবির বলেন, “আমি উচ্ছ্বসিত থাকি; পাশাপাশি আমার জ্বরও আসে। ছোটবেলা থেকেই অনেক মানুষ দেখলে আমি ভয় পেয়ে যেতাম।”
স্মৃতিচারণ করে সাফা কবির বলেন, “আমার এখনো মনে আছে, আমি যখন ইন্টারে কোচিং করতে যেতাম। কোচিং সেন্টার ফার্মগেটে ছিল। কোচিং সেন্টারের সামনে গাড়ি থেকে নামার পর আম্মুকে অনেক শক্ত করে ধরে রাখতাম। কারণ অনেক মানুষ দেখলে আমি ফ্রিক আউট (বিচলিত হওয়া) হই।”
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, তাসনিয়া ফারিণের সিনেমায় অভিষেক হয়েছে। গত মাসের শুরুতে প্রথম সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন তানজিন তিশাও। সাফাও কি সিনেমা করবেন?
এ বিষয়ে সাফা কবির বলেন, “বড় পর্দায় কবে আমাকে দেখা যাবে, এই প্রশ্ন অনেক দিন ধরে শুনছি। আমিও নিজেকে সিনেমায় দেখতে চাই। কিন্তু এখন একটু ভয় হয়। সাম্প্রতিক সময়ে নাটকের অনেক ভালো ভালো অভিনেত্রী সিনেমা করছে। তবে তাদের কিছু মানুষ নাটকের নায়িকা বলে কটাক্ষ করছে। এ ধরনের মন্তব্য আমাকে নিরুৎসাহিত করছে। আমি এখন পর্যন্ত বড় পর্দায় আসিনি, কিন্তু এ ধরনের নেগেটিভ মন্তব্যের কারণে ভয় পেয়ে যাচ্ছি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র ম র জ বর
এছাড়াও পড়ুন:
ছোটদের বিশ্বকাপে পর্তুগাল চ্যাম্পিয়ন, রোনালদোর অভিনন্দন
কাতার বিশ্বকাপের তিক্ত স্মৃতি এখনও অনেকের মনে গেঁথে আছে। ২০২২ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে থেমে গিয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। সেই একই দোহা এবার যেন নতুন গল্প লিখল লাল-সবুজ-কালো রঙের জার্সিধারীদের জন্য। তিন বছর পর একই মাটিতে বিশ্ব ফুটবলের ভবিষ্যৎ তারকারা এনে দিল নতুন আনন্দ। প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের মুকুট জিতেছে পর্তুগাল।
বৃহস্পতিবার রাতে দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার উল্লাসে ভাসে পর্তুগিজ যুবারা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে প্রথমার্ধে ৩২ মিনিটের মাথায় বেনফিকার তরুণ স্ট্রাইকার আনিসিও কাবরালের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে। টুর্নামেন্টে এটি ছিল তার সপ্তম গোল। যদিও গোল্ডেন বুট জিতেছেন অস্ট্রিয়ার জোহানেস মোজের; তিনি করেছেন ৮ গোল। কিন্তু চূড়ান্ত লড়াইয়ে সিদ্ধান্ত গড়েছে আনিসিওর গোলই।
আরো পড়ুন:
আর্সেনাল পাঁচে পাঁচ, পেছনেই পিএসজি
রোনালদোর রেকর্ড ভেঙে চ্যাম্পিয়নস লিগে এমবাপ্পের দ্রুততম হ্যাটট্রিক
ফাইনালটি ছিল দুই দলের আক্রমণাত্মক লড়াইয়ে ভরপুর। বল দখলে এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। ম্যাচের ৫৮ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। সুযোগ তৈরিও করেছে বেশি তারা। ১০টি শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে। অস্ট্রিয়া সুযোগ পেয়েছিল আটবার। যার পাঁচটি শট ছিল অন-টার্গেট। নিরলস লড়াইয়ে ফাউলের মাত্রাও ছিল চোখে পড়ার মতো। মোট ৪৩ বার খেলা থেমেছে ফাউলের বাঁশিতে।
ঐতিহাসিক এই অর্জনের পরই সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান পর্তুগিজ ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ইনস্টাগ্রামে তরুণ চ্যাম্পিয়নদের ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “জায়ান্টস! অভিনন্দন, বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা!” রোনালদোর সেই বার্তায় আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে পর্তুগালের সাফল্য।
অনেকেই মনে করছেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর বয়সভিত্তিক বিশ্ব মঞ্চে যে আনন্দের স্রোত বয়ে আনল পর্তুগালের ক্ষুদে যোদ্ধারা, তা হয়তো পর্তুগিজ ফুটবলের ভবিষ্যৎ পথচলায় নতুন প্রেরণা হয়ে উঠবে।
ঢাকা/আমিনুল