রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত শান্তি পরিকল্পনার খসড়া নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাঁর মতে, এটি ভবিষ্যতের কোনো চুক্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। রাশিয়া ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার কিরগিজস্তানে রাষ্ট্রীয় সফর চলাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পুতিন। তিনি স্বীকার করেছেন, আলোচনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার অবস্থানকে বিবেচনায় নিয়েছে। তবে তিনি বলেন, কিছু বিষয় এখনো চূড়ান্ত করা বাকি আছে।

খসড়া পরিকল্পনাটির বিষয়ে পুতিন বলেন, ‘সাধারণভাবে আমরা একমত যে এটি ভবিষ্যৎ চুক্তিগুলোর ভিত্তি হতে পারে।’

আরও আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ শিগগিরই মস্কো সফর করবেন বলেও উল্লেখ করেন পুতিন। তিনি বলেন, রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন দনবাস ও ক্রিমিয়া অঞ্চলের বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক বৃহস্পতিবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন। পরে জেলেনস্কিও নিশ্চিত করেছেন, যুদ্ধ বন্ধে জেনেভার বৈঠকে আলোচনা করা একটি রূপরেখা চূড়ান্ত করতে চলতি সপ্তাহে ইউক্রেন ও মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক করবে।

গত সপ্তাহে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনার খসড়া ফাঁস হয়ে যায়। প্রস্তাবটি কার্যকর হলে রাশিয়া বেশি সুবিধা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে ইউক্রেনকে রাশিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা বাদ দিতে বলা হয়েছে।

পরে ইউক্রেনের সঙ্গে আলাপের ভিত্তিতে পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইউক্রেনের মুখ্য উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই কিসলিৎস্যা বলেন, সংশোধিত সংস্করণে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে ছয় লাখ সদস্যের সীমারেখা তুলে দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বিষয়টিও বাতিল করা হয়েছে।

তবে সর্বশেষ প্রস্তাবটির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। পুতিন তাঁর সর্বশেষ মন্তব্যে বলেছেন, এই পরিকল্পনার ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো কোনো চূড়ান্ত সংস্করণ এখনো নেই।

আপাতদৃষ্টিতে পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আন্তরিক বলে মনে হলেও কিয়েভ যদি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো ছেড়ে না দেয়, তাহলে রাশিয়া প্রায় চার বছর ধরে চলা এ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। এ যুদ্ধে দুই পক্ষেরই কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক বৃহস্পতিবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন। পরে জেলেনস্কিও নিশ্চিত করেছেন, যুদ্ধ বন্ধে জেনেভার বৈঠকে আলোচনা করা একটি রূপরেখা চূড়ান্ত করতে চলতি সপ্তাহে ইউক্রেন ও মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক করবে।

আরও পড়ুনইউক্রেনকে ছাড় দেবে না রাশিয়া ৭ ঘণ্টা আগে

আপাতদৃষ্টিতে পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আন্তরিক বলে মনে হলেও কিয়েভ যদি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো ছেড়ে না দেয়, তাহলে রাশিয়া প্রায় চার বছর ধরে চলা এ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। এ যুদ্ধে দুই পক্ষেরই কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন।

পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনীয় সেনাদের তাদের দখলে থাকা অঞ্চলগুলো থেকে সরে যেতে হবে, তাহলেই লড়াই থেমে যাবে। যদি তারা না সরে, তাহলে আমরা সশস্ত্র উপায়ে এটি অর্জন করব। এটাই শেষ কথা।’

তাঁর দাবি, রুশ বাহিনী বর্তমানে ইউক্রেনে আরও দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

রুশ নেতা আরও বলেন, ভবিষ্যতের যেকোনো চুক্তিতে ইউক্রেনকে রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলগুলোকে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও তা মেনে নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের বর্তমান নেতৃত্বকে তিনি ‘অবৈধ’ মনে করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন য দ ধ য ক তর ষ ট র য দ ধ বন ধ ইউক র ন র প রস ত র জন য কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে গৃহবধূকে মারধর ও বিবস্ত্র করার অভিযোগ

ঝিনাইদহে এক গৃহবধূককে মারধর করে বিবস্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার দোগাছি গ্রামের পূর্বপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রাতভর গবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

ফরিদপুরে গণপিটুনিতে যুবক নিহত, আহত ৩

ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দোগাছি গ্রামের নজরুল ইসলামের সঙ্গে সিরাজুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। কয়েকদিন আগে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য শারমিন আক্তার জানান, ‍আজ সকালে ওই গৃহবধূ তার এক আত্মীয়কে নিয়ে গ্রামে হাঁটতে বের হন। হাজামবাড়ি মসজিদ এলাকায় প্রতিপক্ষ সিরাজুলের সমর্থক লিটন, বাবুল, রশিদ, সাইফুল, লুতফর, ইমন, মুস্তাকসহ ১০-১৫ জন তাদের পথরোধ করেন। এ সময় সঙ্গে থাকা আত্মীয় দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও গৃহবধূকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। 

তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা গৃহবধূকে মারধরের পাশাপাশি তার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন। তারা গলার চেইন, কানের দুল ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন। পরে পুলিশ গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিরাজুল ইসলামের মোবাইলে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এক নারীকে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ