ঝিনাইদহে এক গৃহবধূককে মারধর করে বিবস্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার দোগাছি গ্রামের পূর্বপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রাতভর গবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

ফরিদপুরে গণপিটুনিতে যুবক নিহত, আহত ৩

ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দোগাছি গ্রামের নজরুল ইসলামের সঙ্গে সিরাজুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। কয়েকদিন আগে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য শারমিন আক্তার জানান, ‍আজ সকালে ওই গৃহবধূ তার এক আত্মীয়কে নিয়ে গ্রামে হাঁটতে বের হন। হাজামবাড়ি মসজিদ এলাকায় প্রতিপক্ষ সিরাজুলের সমর্থক লিটন, বাবুল, রশিদ, সাইফুল, লুতফর, ইমন, মুস্তাকসহ ১০-১৫ জন তাদের পথরোধ করেন। এ সময় সঙ্গে থাকা আত্মীয় দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও গৃহবধূকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। 

তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা গৃহবধূকে মারধরের পাশাপাশি তার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন। তারা গলার চেইন, কানের দুল ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন। পরে পুলিশ গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিরাজুল ইসলামের মোবাইলে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এক নারীকে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর অভ য গ গ হবধ ক ঝ ন ইদহ ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

ইমরান খানের শারীরিক অবস্থান নিয়ে তথ্য দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ, অবস্থান কর্মসূচি কেপি মুখ্যমন্ত্রীর

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদি ১৬ ঘণ্টা পর আদিয়ালা সড়ক থেকে অবস্থান ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা বন্দী ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো তথ্য দেয়নি।

গোরখপুর চেক পয়েন্টে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি বলেন, দলের কর্মীরা পুরো রাত প্রতিবাদস্থলে কাটিয়েছেন।

আফ্রিদি বলেন, ‘আমরা কর্মীদের সঙ্গে এখানে রাত কাটিয়েছি। এটি মাত্র একটি রাত।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার জন্য যদি আমাদের পুরো জীবনও এখানে কাটাতে হয়, আমরা তা করব।’

খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমাদের এখনো কিছু বলা হয়নি।’ তিনি বলেন, তাঁরা তাঁদের দাবি থেকে সরে আসবেন না।

মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে দেখা করতে তিনি ‘সব সাংবিধানিক ও আইনি পথ’ অনুসরণ করেছেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমি প্রতিটি সাংবিধানিক ও আইনি পথ ব্যবহার করেছি। আমার নেতার সঙ্গে দেখা করতে আর কোন পথ বাকি রইল?’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বা দলের অন্য নেতাদের কাউকেই ইমরানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সমালোচনা করে সোহেল আফ্রিদি বলেন, আগে যাঁরা লন্ডনে পালিয়ে যেতেন, তাঁদের একসঙ্গে ৫০ জনের দলকে (কারাগারে) দেখা করার অনুমতি দেওয়া হতো।

অবস্থান ধর্মঘট শেষ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। আশা করা হচ্ছে, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে তিনি উচ্চ আদালতে একটি আবেদন করবেন।

আবেদন জমা দেওয়ার পর সোহেল আফ্রিদি আদিয়ালা রোডে ফিরে আসবেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আফ্রিদি ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও দেখা করবেন।

মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি আরও বলেন, আদালত যদি তাঁদের আদেশ কার্যকর না করেন, তবে তা দেশে ‘জঙ্গলের রাজত্ব’ প্রতিষ্ঠার শামিল হবে।

গতকাল দলের নেতাদের ইমরানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না দেওয়ায় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেল রোডের গোরখপুর চেক পয়েন্টে পিটিআইয়ের নেতা–কর্মীরা ১৬ ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।

তেহরিক তাহাফুজ আইন-ই-পাকিস্তানের (টিটিএপি) প্রধান মাহমুদ খান আচাকজাই, মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিমের (এমডব্লিউএম) প্রধান আল্লামা রাজা নাসির আব্বাস, মিশাল ইউসুফজাই, সিনেটর গুরদীপ সিং, সিনেটর রুবিনা নাজ, এম এন এ জুলফিকার আহমেদসহ অনেকে এ অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেন।

আগের দিন সাংবাদিকদের আচাকজাই বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এ বিশ্বাস নিয়ে রাওয়ালপিন্ডি এসেছিলেন যে ফেডারেল ইউনিটের প্রতিনিধি হিসেবে, বিশেষ করে আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর তাঁকে দলের নেতার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে।

আচাকজাই বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মনে করেছিলেন, তিনি ফেডারেশনের একজন সাংবিধানিক প্রতিনিধি। তিনি ভেবেছিলেন, আদালত যখন লিখিতভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, তখন তাঁর নেতার সঙ্গে তাঁকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হবে।

টিটিএপিপ্রধান আরও বলেন, কিন্তু তিনি এখন বুঝতে পেরেছেন, এখানকার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি বা সম্মানের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন।

আচাকজাই বলেন, আফ্রিদির এই প্রতিবাদ সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক পশতুনদের কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ