৩ দিন পর পুকুরে মিলল নিখোঁজ যুবকের মরদেহ
Published: 28th, November 2025 GMT
নিখোঁজের তিনদিন পর ঢাকার ধামরাই পৌরসভার চন্দ্রাইল এলাকার একটি মৎস্য খামারের পুকুর থেকে হৃদয় হাসান (২৪) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে পৌরসভার ছোট চন্দ্রাইল এলাকার পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।
মারা যাওয়া হৃদয় সৈয়দপুর সদর থানার নিয়ামতপুর এলাকার মো. চান মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রডমিস্ত্রি ছিলেন। গত দশ বছর ধরে পরিবার নিয়ে চন্দ্রাইল এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
আরো পড়ুন:
বন্ধুকে হত্যার পর কুড়াল নিয়ে থানায় হাজির
সিদ্ধিরগঞ্জে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ
নিহতের ভাই মনু মিয়া বলেন, “আমার ভাই তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। তাকে আমরা অনেক জায়গায় খুঁজেছি। আজ সকালে পুকুরে ভেসে থাকা মরদেহের খবর পেয়ে ছুটে আসি। মরদেহটি ছিল পুকুরের মাঝখানে। উদ্ধারের পর লাশটি আমার ভাইয়ের বলে শনাক্ত করি।”
স্থানীয়রা জানান, সকালে মরদেহ ভেসে থাকার খবরে এলাকার মানুষ পুকুর পাড়ে জড়ো হন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। ভাইয়েরা এসে নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্ত করেন।
ধামরাই থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মো.
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ ন হত এল ক র য বক র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে গুলি করে হত্যা, অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে হত্যা করেছেন।
নিহত সাদ্দাম হোসেন (৩৫) সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য। তিনি শহরের কান্দিপাড়ার মাইমলহাটির মোস্তফা কামাল ওরফে মস্তুর ছেলে। তাঁর স্ত্রী এবং সাত বছর ও দুই মাসের দুটি মেয়ে আছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কান্দিপাড়ার বাসিন্দা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ও একই এলাকার বাসিন্দা সদর উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল সিকদারের মধ্যে সম্প্রতি বিরোধ চলছে। এর জেরে গতকাল সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কান্দিপাড়ার মাদ্রাসার রোডে পপুলার প্রেসের সামনে গুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজে শাকিল সিকদারকে বন্দুক হাতে গুলি করতে দেখা যায়। এতে কান্দিপাড়ার টুটুল মিয়া (৪৬), শিহাব উদ্দিন ওরফে সোয়েব (২৭) ও মো. সানজু (২২) গুলিবিদ্ধ হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রাতেই তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে শহরের ফারুকী বাজারের চালের দোকান বন্ধ করে গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে কান্দিপাড়ার বাড়ির ফটকের সামনে গিয়ে দাঁড়ান রবিন মিয়া। এ সময় দেলোয়ার হোসেনের লোকজন বাড়ির সামনে রবিনকে মারধর করেন। তাঁকে রক্ষা করতে গেলে রবিনের ছোট ভাই রিজন মিয়াকেও মারধর করা হয়। পরে সাদ্দাম হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নিহত সাদ্দামের বাবা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘গতকাল রাত দেড়টার দিকে সাদ্দাম বাসায় ভাত খাচ্ছিল। তখন দেলোয়ার হোসেন, তাঁর সহযোগী পলাশ ও বাবুল মিয়া বাড়ি থেকে ডেকে সাদ্দামকে নিয়ে যান। রাত দুইটার দিকে সাদ্দাম গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনতে পাই। কান্দিপাড়ার সংকর শাহবাড়ির পাশের খালপাড় নতুন সেতুর ওপরে গিয়ে দেখি, দুজন সাদ্দামকে টানাহেঁচড়া করে তোলার চেষ্টা করছে। তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সাদ্দামের বুকে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। ওড়না খুলে বুঝতে পারি, ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।’
মোস্তফা কামাল অভিযোগ বলেন, ‘দেলোয়ার হাসপাতালে এসেছিল। সে জানিয়েছে, “শাকিল পেছন থেকে গুলি করেছে।” কিন্তু পেছন থেকে গুলি করলে বুকে কেন লাগব? দেলোয়ার হোসেন, বাবুল ও পলাশ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। তারা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ কাজ করেছে।’
হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে নিহত ছাত্রদলের সাবেক নেতার বাড়িতে এসেছেন তাঁর স্বজন ও প্রতিবেশীরা। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায়