আদানির দুই ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ
Published: 15th, April 2025 GMT
কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ থাকা ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটও চালু হয়েছে। ফলে দুই ইউনিট থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতায় ফিরে এসেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আদানি গ্রুপ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধা ৭টার দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট থেকে প্রায় ৭৩৯ মেগাওয়াট, অপর ইউনিট থেকে ৬৩৭ মেগাওয়াটসহ মোট ১৩৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট রয়েছে। এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ১৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ৮ এপ্রিল একটি ইউনিট থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে অপর ইউনিট থেকে দৈনিক ৭৫০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে থাকে আদানি। তবে একই কারণে এই ইউনিটও শুক্রবার রাত ১ টার দিকে অচল হয়ে গেলে কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম ইউনিট উৎপাদনে ফেরে।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় আদানির সঙ্গে ২০১৭ সালে ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব দ য ৎ সরবর হ ইউন ট থ ক
এছাড়াও পড়ুন:
বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম
ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।
সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।
পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।