আমরা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী: ধর্ম উপদেষ্টা
Published: 21st, April 2025 GMT
ধর্ম উপদেষ্টা আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “আমরা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। সকল রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত দিয়েছে। আমরাও একটি রোডম্যাপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। জনগণের চাহিদা যেদিকে হবে সরকার সেটি বিবেচনায় নিবেন।”
রবিবার (২০ এপ্রিল) রাতে রাঙামাটি সরকারি কলেজ মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় সীরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশে কোনও সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় না, যা হয় তা রাজনৈতিক কারণে। বিশে^র অন্যান্য দেশের তুলনায় এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অনেক ভালো আছেন।”
সম্প্রতি নারী সংস্কার কমিশন বাতিল চেয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির আল্লামা মামুনুল হকের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “এই প্রতিবেদন ছাপিয়ে জনগণের কাছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা একটি সংস্কার করলাম সেটি জনগণ গ্রহণ না করলে সেটি বাস্তবায়ন হবে না। যেগুলো গ্রহণযোগ্য সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। যদি সংশোধন করা লাগে সরকার সেটি সংশোধন করবে। যে সমস্ত ধারাগুলো ইচ্ছা অভিপ্রায়ের পরিপন্থি সেগুলো সরকার বিবেচনা করবে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের রেমাক্রি মুখ এলাকায় স্থানীয়দের সাথে জলকেলিতে আরাকান আর্মির পোশাক পরিহিত ভাইরাল ছবি ও ভিডিও বিষয়ে জানতে চাইতে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “এটা বাংলাদেশ সরকার ও সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর নলেজে আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনিটরিং করছে, যখনি যেটা প্রয়োজন সেটা করা হবে।”
ঢাকা/শংকর/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে শুরু হবে বিএনপির ‘বিজয় মাস’ উদ্যাপন
মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে সারা দেশে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী ১ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে মশাল রোড শোর মাধ্যমে এবারের উদ্যাপন কর্মসূচি শুরু হবে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রোড শো শেষ হবে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ এবং জনগণের বিজয়ের আনন্দ আরও বর্ণিল এবং অর্থবহ করতে এবারও সারা দেশে সাড়ম্বরে গৌরবের ৫৫তম মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করতে আলোচনা সভা, বিজয়ের রোড শোসহ মাসব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির উদ্যোগে ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ কর্মসূচি ‘বিজয়ের মাসে বিজয় মশাল রোড শো’।
মির্জা ফখরুল জানান, চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। এই ঐতিহাসিক বেতারকেন্দ্র থেকেই শুরু হবে এবারে বিএনপির ‘বিজয় মাস’ উদ্যাপন কর্মসূচি। তিনি বলেন, ১ ডিসেম্বর কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বিজয় মশালযাত্রা শুরু হবে। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করে একই দিন চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানে পৌঁছাবে। বিজয় মিছিলের মশাল একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন জুলাই যোদ্ধা বহন করবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল দেশের স্বাধীনতা অর্জনের আর ২০২৪ হলো দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব আরও জানান, পর্যায়ক্রমে সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগ এবং কুমিল্লা ও ফরিদপুরে বিজয় মশাল রোড শো এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি জায়গায় মশাল বহন করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন জুলাই যোদ্ধা।
মির্জা ফখরুল জানান, দুই সপ্তাহের এই বিশেষ ‘রোড শো’ উদ্যাপনের সময় বিভিন্ন বিভাগের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধের গান, দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের নির্বাচিত অংশ প্রচার, জাসাসের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শন হবে। তিনি বলেন, জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে একটি নিরাপদ, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি। এই পুরো আয়োজনে বিএনপির থিম সং—সবার আগে বাংলাদেশ।