পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে বিশ্বনেতাদের ঢল
Published: 26th, April 2025 GMT
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে অংশ নিতে ভ্যাটিকানে উপস্থিত হয়েছেন বিশ্বের বহু নেতৃবৃন্দ ও রাজপরিবারের সদস্যরা। আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) আয়োজিত এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় প্রায় ১৩০টি বিদেশি প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে ৫০ জন রাষ্ট্রপ্রধান ও ১২ জন রাজা-রানী রয়েছেন।
ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে, অংশগ্রহণকারী বিশিষ্ট বিশ্বনেতাদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল বাইডেন; বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড.
এছাড়াও আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স খালিদ বিন মুহাম্মদ আল নাহিয়ান; মরক্কোর ক্রাউন প্রিন্স মুলায় হাসান; সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট কারিন কেলার-সুটার; স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট নাটাসা পির্ক মুসার; স্লোভাকিয়ার প্রেসিডেন্ট পিটার পেল্লেগ্রিনি; সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো; তিমোর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা; টোগোর প্রেসিডেন্ট ফাউরে গনাসিংবে; পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রো; রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রী মার্সেল চিওলাকু; সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুরো ম্যাকুট; কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি; সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং; মালয়েশিয়ার আইনমন্ত্রী আজালিনা ও ইওন; জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকাশি ইওয়ায়াসহ আরো অনেকে।
তবে নির্বাচনী প্রচারণার কারণে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি; আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ভ্যাটিকানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু; যুক্তরাষ্ট্র সফরের কারণে প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো পেনা; কংগ্রেস ভ্রমণের অনুমতি না দেওয়ায় পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
এসব বিশ্বনেতারা ছাড়াও অন্যান্য ধর্মীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি যেমন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস; ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন; বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস উপস্থিত হয়েছেন।
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা গির্জার সামনের চত্বরে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন কলেজ অব কার্ডিনালসের ডিন জিওভান্নি বাতিস্তা রে।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা
দাবি মেনে নেওয়ায় ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজ্জাম্মুল হক ও অন্যান্য শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে দুপুর থেকে রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেছিলেন।
আরো পড়ুন:
যবিপ্রবিসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আধুনিক সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।
অনশনকারী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “আমাদের দাবি ছিল বৃত্তি প্রদানের নির্দিষ্ট তারিখ, জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা এবং লাইব্রেরিতে সুবিধা বৃদ্ধি। প্রশাসন এগুলো মেনে নিয়েছে। কিছুটা ধোঁয়াশা থাকলেও আমরা আস্থা রেখে অনশন ভেঙেছি।”
বাগছাসের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আশা করি, প্রশাসন প্রতিশ্রুতিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন স্বপ্নের দুয়ার উন্মোচিত হবে।”
অনশনকারী শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এমকেএম রাকিব বলেন, “প্রশাসন আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে, এতে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি, শিক্ষার্থীরা দ্রুতই তাদের কাঙ্ক্ষিত বৃত্তি পাবে এবং অন্যান্য ক্যাম্পাসের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও নির্বাচনের আমেজ তৈরি হবে।”
অনশনে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর এবারই প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলো।
ঢাকা/লিমন/ইভা