নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ইয়াসিন (১৭) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রমজান ও সানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ইয়াসিন ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার বরুয়া গ্রামের মো. শহিদুলের ছেলে। তবে নাসিক ৮নং ওয়ার্ডের এনায়েতনগরের মৃত আশোক আলী মাস্তানের বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকত।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার সীমান্ত এলাকার কুতুবপুর লাকি বাজার সংলগ্ন ক্যানালপাড় সড়কে একদল কিশোরের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ইয়াসিনকে অন্য কিশোররা ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ হত য
এছাড়াও পড়ুন:
মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, ভয়াবহ দুর্ভোগ!
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার সংলগ্ন এলাকায় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কের একটি লেন পুরোপুরি দখল করে ফেলেছে এই ভাগাড়। দুর্গন্ধে পথচারী ও যানবাহনের চালকসহ যাত্রীদের চলাচলই দায় হয়ে পড়েছে এ এলাকা দিয়ে।
সমস্যাটি বহুদিনের হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগের অভাবে ভোগান্তি দীর্ঘ হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
শ্রীপুরের এমসি বাজার এলাকায় গড়ে ওঠা এই ভাগাড় শুধু পরিবেশ নয়, জননিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলেছে। এ এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
মাওনা গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে বেশ কয়েকটি বড় ময়লার ভাগাড় রয়েছে। বাজার, আবাসিক এলাকা ও সামিট পাওয়ার স্টেশন সংলগ্ন যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এতে আশপাশের অন্তত ২–৩ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র দুর্গন্ধ বিরাজ করে। এ এলাকার পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে রিতীমতো।
স্থানীয় বাসিন্দা বিপুল মিয়া বলেন, “আপনারা এক দিন এখানে থাকলে বুঝতেন আমরা কী যন্ত্রণায় আছি। হেঁটে গেলে বমি আসে, পেটে ভাত যায় না। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বৃদ্ধরা শ্বাস নিতে পারে না। মনে হয় এলাকা ছেড়ে পালাতে হবে!”
মনসুর মণ্ডল নামে অপর বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এটা এক দিনের সমস্যা নয়। বছরের পর বছর ধরে ময়লা ফেলে ভাগাড় তৈরি হয়েছে। কেউ খোঁজ নেয় না। কেউ শোনে না। কী ভয়ংকর গন্ধ, বলে বোঝানো যাবে না।”
তিনি আরো বলেন, “সড়কটির লেন দখল হয়ে যাওয়ায় রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহনগুলো চলতে পারছে না। একপাশ বন্ধ, অপর পাশে চলছে দুই লেনের ট্রাফিক। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।”
রিকশাচালক আব্দুল কাদির বলেন, “ময়লার পাশ দিয়ে যেতে গেলে সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু গন্ধে দাঁড়িয়ে থাকাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। এক লেন পুরোপুরি বন্ধ, ফুটপাত অনেক আগেই শেষ। আমরা কোথা দিয়ে চলব?”
পোশাক শ্রমিক সাহেরা খাতুন জানান, “গত বুধবার ময়লার পাশে হেঁটে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। হাতে চোট পেয়েছি। দুর্গন্ধ এমন যে খাবার মুখে তুলতে পারি না।”
ইমাম পরিবহনের চালক নজরুল ঢালী বলেন, “জ্যামে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে যাত্রীরা গন্ধে ছটফট করেন। অথচ এটা প্রতিদিনের দৃশ্য হয়ে গেছে। প্রশ্ন হলো, এই মহাসড়ক দেখার কেউ নেই?”
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ বলেন, “এমন জনদুর্ভোগ কখনই কাম্য নয়। আমি নিজে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সমাধান হবে।”
ঢাকা/রফিক/এস