কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২ নেতা বহিষ্কার
Published: 4th, May 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির দুই নেতাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা হলেন- সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মামুন মিয়া ও সংগঠক রিয়াদ আহমেদ উল্লাস।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন দুই নেতাকে বহিষ্কারের নোটিশ দিয়েছেন নিজের ফেসবুকে। নোটিশে ইকরাম হোসেন ও সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্সের সই রয়েছে।
বহিষ্কারের নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সাংগঠনিক নীতি আদর্শ ও শৃংখলা পরিপন্থী কার্যক্রমের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এবং তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদেরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সকল কার্যক্রম থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।’ এ ব্যাপারে সংগঠনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি বড় সংগঠন। ফলে বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা ধরনের ছেলে নানা উদ্দেশ্যে ঢুকে পড়ে। আগামীতেও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিলের নোটিশে সাংগঠনিক নীতি আদর্শ বহির্ভূত কার্যক্রমের অভিযোগে তাড়াইল উপজেলা কমিটির সদসদ্য সচিব পারভেজ ইসলামের পদ স্থগিত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক তদন্ত চলছে বলে ইকরাম হোসেন জানিয়েছেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষরে ৩২১ সদস্যের কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ ইকর ম হ স ন ক শ রগঞ জ কম ট র গঠন ক স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, ভয়াবহ দুর্ভোগ!
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার সংলগ্ন এলাকায় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কের একটি লেন পুরোপুরি দখল করে ফেলেছে এই ভাগাড়। দুর্গন্ধে পথচারী ও যানবাহনের চালকসহ যাত্রীদের চলাচলই দায় হয়ে পড়েছে এ এলাকা দিয়ে।
সমস্যাটি বহুদিনের হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগের অভাবে ভোগান্তি দীর্ঘ হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
শ্রীপুরের এমসি বাজার এলাকায় গড়ে ওঠা এই ভাগাড় শুধু পরিবেশ নয়, জননিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলেছে। এ এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
মাওনা গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে বেশ কয়েকটি বড় ময়লার ভাগাড় রয়েছে। বাজার, আবাসিক এলাকা ও সামিট পাওয়ার স্টেশন সংলগ্ন যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এতে আশপাশের অন্তত ২–৩ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র দুর্গন্ধ বিরাজ করে। এ এলাকার পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে রিতীমতো।
স্থানীয় বাসিন্দা বিপুল মিয়া বলেন, “আপনারা এক দিন এখানে থাকলে বুঝতেন আমরা কী যন্ত্রণায় আছি। হেঁটে গেলে বমি আসে, পেটে ভাত যায় না। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বৃদ্ধরা শ্বাস নিতে পারে না। মনে হয় এলাকা ছেড়ে পালাতে হবে!”
মনসুর মণ্ডল নামে অপর বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এটা এক দিনের সমস্যা নয়। বছরের পর বছর ধরে ময়লা ফেলে ভাগাড় তৈরি হয়েছে। কেউ খোঁজ নেয় না। কেউ শোনে না। কী ভয়ংকর গন্ধ, বলে বোঝানো যাবে না।”
তিনি আরো বলেন, “সড়কটির লেন দখল হয়ে যাওয়ায় রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহনগুলো চলতে পারছে না। একপাশ বন্ধ, অপর পাশে চলছে দুই লেনের ট্রাফিক। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।”
রিকশাচালক আব্দুল কাদির বলেন, “ময়লার পাশ দিয়ে যেতে গেলে সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু গন্ধে দাঁড়িয়ে থাকাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। এক লেন পুরোপুরি বন্ধ, ফুটপাত অনেক আগেই শেষ। আমরা কোথা দিয়ে চলব?”
পোশাক শ্রমিক সাহেরা খাতুন জানান, “গত বুধবার ময়লার পাশে হেঁটে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। হাতে চোট পেয়েছি। দুর্গন্ধ এমন যে খাবার মুখে তুলতে পারি না।”
ইমাম পরিবহনের চালক নজরুল ঢালী বলেন, “জ্যামে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে যাত্রীরা গন্ধে ছটফট করেন। অথচ এটা প্রতিদিনের দৃশ্য হয়ে গেছে। প্রশ্ন হলো, এই মহাসড়ক দেখার কেউ নেই?”
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ বলেন, “এমন জনদুর্ভোগ কখনই কাম্য নয়। আমি নিজে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সমাধান হবে।”
ঢাকা/রফিক/এস