সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত, গ্রেপ্তার ২
Published: 4th, May 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্কের জেরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ইয়াছিন (১৭) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- গোপালগঞ্জের মৃত লতিফ শেখের ছেলে ওসমান (১৬) ও জামালপুরের বুল্লুর ছেলে আব্দুল (১৬)। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এনায়েতনগর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
নিহত ইয়াসিন ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার বরুয়া গ্রামে মো.
রোববার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। এরআগে শনিবার (৩ মে) দিবাগত রাতে জেরার সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার সীমানা এলাকার কুতুবপুর লাকি বাজার সংলগ্ন এনায়েত নগর ক্যানাল পাড় সড়কে একদল কিশোরের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় কিশোর ইয়াসিনকে ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে চলে যায় অন্য কিশোররা। পরে আহত অবস্থায় ইয়াছিনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, এলাকাবাসীর সহযোগিতা দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর না.গঞ্জ পাসপোর্ট অফিস চালু
২০২৪-এর জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের পর বন্ধ হওয়া নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দীর্ঘ দশ মাস পর কার্যক্রম শুরু করতে চলেছে।
আগামীকাল রবিবার (৪ এপ্রিল) থেকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডে এলাকায় পুরনো ঠিকানায় পাসপোর্ট সেবা ফের পাওয়া যাবে।
এর আগে, বুধবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিট থেকে অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়।
নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক জামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এখন থেকে নারায়ণগঞ্জের পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা সরাসরি অফিসে এসে তাদের আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন এবং ছবি ও বায়োমেট্রিক প্রদানের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৮ জুলাই রাতে দুষ্কৃতকারীরা নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিতরণের অপেক্ষায় থাকা প্রায় আট হাজার পাসপোর্ট পুড়ে যায়।
শুধু তাই নয়, পুরো অফিস ভবনটিই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং আগুন প্রায় পুরোটা দিন ধরে জ্বলতে থাকে। ঘটনার পূর্বে অফিসে লুটপাটও চালানো হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তৎকালীন উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান।
অগ্নিকাণ্ডের ফলে ভবনের নিচতলা থেকে শুরু করে চতুর্থ তলার গুরুত্বপূর্ণ বায়ো এনরোলমেন্ট যন্ত্রপাতি, প্রশাসনিক বিভাগ, অফিসের সরঞ্জাম, জরুরি নথি, ফাইলপত্র এবং রেকর্ডরুমসহ সবকিছু পুড়ে যায়।
এই ঘটনার কারণে নারায়ণগঞ্জের সাতটি উপজেলার (সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, বন্দর, সোনারগাঁ, ফতুল্লা ও সদর) বাসিন্দারা চরম ভোগান্তির শিকার হন। পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাজের জন্য তাদের পার্শ্ববর্তী মুন্সীগঞ্জ ও নরসিংদীতে যেতে হয় তাদের।
ঢাকা/অনিক/এস