ভারত থেকে এভাবে পুশ–ইন করাটা সঠিক প্রক্রিয়া নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে ‘পুশ-ইন’ করে মানুষ পাঠানো প্রসঙ্গে খলিলুর রহমান বলেন, এ খবরগুলো আমরাও পাচ্ছি। প্রতিটি ঘটনা আলাদাভাবে নিরক্ষণ করছি। বাংলাদেশ কেবল বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রমাণ সাপেক্ষে গ্রহণ করবে। আর এই প্রক্রিয়াটি হতে হবে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে। এভাবে পুশ-ইন করাটা সঠিক নয়।

এই বার্তা দিল্লিকে দেওয়া হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, আমরা এটা নিয়ে ইতোমধ্যে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।

পররাষ্ট্রসচিব পরিবর্তন হচ্ছেন কি-না জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, সে রকম কিছু হলে তো আপনারা জানবেন।

প্রসঙ্গত, আজ খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৬৬ ভারতীয় নাগরিক ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে আরও ৩৬ রোহিঙ্গাকে পুশ–ইন করার খবর পাওয়া গেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প শ ইন

এছাড়াও পড়ুন:

পাখি খুঁজে পেতে তিন হাজার টাকা পুরষ্কার ঘোষণা

‘লিও নামের একটি বাজরিগার প্রজাতির বাচ্চা পাখি হারিয়ে গেছে। এর গায়ের রঙ সাদা, নীল ও কালো। পাখিটি কেউ খুঁজে দিলে তাকে তিন হাজার টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে’ এমন একটি পোস্টার দেওয়া হয়েছে উল্লাপাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন অফিস, বাড়ি ও সড়কের পাশের দেয়ালে। দু’দিন ধরে চোখে পড়ছে এই পোস্টারটি। পাখিটির মালিক রিয়াদ হাসান। তিনি উল্লাপাড়া পৌর শহরের ঝিকিড়া মহল্লার বাসিন্দা। 

অস্ট্রেলিয়ার বাজরিগার জাতের দুটি পাখির বাচ্চা তিনি ঢাকা থেকে কিনে বাড়িতে পোষা শুরু করেন। এর একটির নাম দিয়েছেন লিও, অপরটির নাম কোকো। এদের বয়স প্রায় ৪ মাস। 

লিও’র সঙ্গে কোকোর বেশ ভাব। দুজনে রিয়াদ হাসানের ছাদে গিয়ে খেলা করে এবং বাড়ির লোকজনের কাছাকাছি ওরা উড়াউড়ি করে বেড়ায়। কখনও কখনও বাড়ির লোকজনের ঘাড়ে উঠেও বসে থাকে। 

লিও নামের পাখিটি ১০ এপ্রিল ছাদ থেকে হারিয়ে যায়। এরপর কোকো এখন সব সময় বিমর্ষ হয়ে থাকে। গোটা বাড়ি ও ছাদে খুঁজে বেড়ায় সঙ্গীকে। কোকো অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বাড়ির লোকজনেরও দুশ্চিন্তার শেষ নেই। 

রিয়াদ হাসান জানান, এক মাস ধরে লিওকে ফিরে পাওয়ার জন্য তিনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন, কিন্তু পাননি। অবশেষে পাখিটির ছবি দিয়ে পোস্টার ছেপে ৩ হাজার টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করে শহরের বিভিন্ন স্থানে সেঁটে দিয়েছেন। 

পাখিটির সঙ্গে তার হৃদয়ের সম্পর্ক উল্লেখ করে তিনি জানান, পাখিটি ফিরে পাওয়া তার ও পরিবারের জন্য খুবই প্রয়োজন। লিও’র সঙ্গী কোকোকে বাঁচাতেও পাখিটিকে পাওয়া জরুরি। 

রিয়াদ হাসান বলেন, লিওকে কেউ খুঁজে দিলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুরষ্কারের টাকা দিয়ে দেবেন। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীসহ তিনি সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, বাজরিগার প্রজাতির পাখি অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলসহ সমগ্র বনাঞ্চলে দেখা যায়। পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম মেলোপসিটাকাস আনডুলাটাস (Melopsittacus Undulatus).

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ