শ্যামাপূজার মণ্ডপে মানবতার আহ্বান, উঠে এসেছে গাজার শিশুদের কান্না
Published: 22nd, October 2025 GMT
আলো, উল্লাস আর ঢাকের তালে মুখর চারপাশ। কিশোরগঞ্জ শহরের বত্রিশ এলাকার প্রগতি সংঘের শ্যামাপূজা মণ্ডপে ঢুকলে প্রথমেই মনে হয়, এ এক রঙিন উৎসবের জগৎ। কিন্তু কয়েক পা এগোতেই চোখে পড়ে ধোঁয়ায় ঢাকা মুখ, ধ্বংসস্তূপের ভেতর কাঁদছে এক শিশু, কেউ খুঁজছে হারানো বাবা-মাকে। আলোয় মোড়ানো পূজামণ্ডপজুড়ে সাজানো এসব ছবি মিলেমিশে যেন পরিণত হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার দৃশ্যপট। পূজার আনন্দের মধ্যেও সেখানে যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুদের আর্তনাদের ছবিতে ছবিতে যেন শিউরে উঠছে মানবতা।
এবার ৭২তম বর্ষে ‘দুঃখরূপং’ থিমে গড়ে উঠেছে প্রগতি সংঘের মণ্ডপটি। পূজার আলোয় জেগে উঠেছে পৃথিবীর গভীরতম বেদনা আর এক মানবিক আহ্বান—যুদ্ধ নয়, চাই শান্তি। মণ্ডপের চারপাশে টাঙানো দুই শতাধিক ছবিতে ফুটে উঠেছে গাজার ধ্বংসস্তূপে হারিয়ে যাওয়া শৈশব।
কালীপ্রতিমার চারপাশে সাজানো হয়েছে গাজায় যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুদের ছবিতে। আলো আর অন্ধকারের খেলায় সাজানো প্যান্ডেল। তবু চারদিকে এক অদ্ভুত নীরবতা।
দর্শনার্থীরা জানান, উৎসবে ঠাঁই পাওয়া গাজার কঙ্কালসার শিশুদের ছবিগুলো এবারের পূজায় পৃথিবীর গভীরতম দুঃখের বার্তা মনে করিয়ে দিচ্ছে বারবার। পূজার মণ্ডপটি হয়ে উঠেছে প্রতিবাদের কণ্ঠ, আর মানবতার পাঠশালা। সোম থেকে আজ বুধবার রাত পর্যন্ত চলবে শ্যামাপূজা।
দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায় মণ্ডপে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আড্ডা আর গানে চুয়েটে ‘জয়ধ্বনির’ উৎসবমুখর আয়োজন
মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেউ গাইছেন গান, কেউ গিটারের তারে তুলছেন সুর। দর্শকেরাও সেই সুর মোহিত হয়ে উপভোগ করছেন। কেউ দিচ্ছেন করতালি, কেউবা মুঠোফোনের ফ্ল্যাশ জ্বেলে শিল্পীদের উৎসাহ দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে মঞ্চের আলোকসজ্জা তো আছেই।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) বাস্কেটবল মাঠে গিয়ে দেখা যায় এ দৃশ্য। উৎসবমুখর এ পরিবেশের আয়োজন করেছিল চুয়েটের সাংস্কৃতিক সংগঠন জয়ধ্বনি। সংগঠনটির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
সংগঠনটির দুই দিনব্যাপী এ উৎসবে দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান সদস্যরাও রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে এ উৎসব শেষ হয়েছে। এ উৎসব ঘিরে মাঠের চারপাশে বসে বিভিন্ন ধরনের স্টল। এতে ছিল নানা পণ্য, খাবার ও শীতের পিঠা।
উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে প্রথম আলো, পৃষ্ঠপোষকতায় ইলেকট্রনিক কোম্পানি ‘হ্যাভিট’, খাদ্যসহায়তায় ‘পাহাড়িকা কিচেন’ আর বেভারেজ সহায়তায় মোজো।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব। এরপর পর্যায়ক্রমে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিল্পীরা। বিরতির পর রাত নয়টায় আবার শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। একে একে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে পরিবেশকদের সম্মাননা দিয়ে প্রথম দিনের উৎসব শেষ হয়।
দুই দিনব্যাপী উৎসবের এ আয়োজন দেখতে ভিড় করেন হাজারো শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার রাতে চুয়েটের বাস্কেটবল মাঠে