প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এর সদস্যদের জন্য দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল মিডিয়া বিষয়ক প্রশিক্ষণটি মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শেষ হয়েছে। 

পিআইবির সেমিনার কক্ষে প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন।

আরো পড়ুন:

‘নির্বাচন প্রলম্বিত করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা ওৎ পেতে আছে’ 

সাংবাদিককে হুমকি, ‌‘এলাকায় এলে ঠ্যাংয়ের নালা ভেঙে দেব’

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, কার্য নির্বাহী সদস্য আমিনুল হক ভুইয়া প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুর রহমান শাহীন বলেন, “পিআইবি সাংবাদিকদের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বদা কাজ করে এসেছে, এখন কাজের পরিধি আরো বিস্তার লাভ করেছে।”

সামনে সাংবাদিকদের প্রয়োজন অনুযায়ী আরো বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ পিআইবি সরবরাহ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে কলমের শক্তি ব্যবহার করতে হবে। জুলাই আন্দোলনে ঘটনাপ্রবাহের তুলনায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর ভূমিকা ছিল অনেক বড়। সে অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের উচিত ডিজিটাল সাংবাদিকতায় আরো দক্ষতা অর্জন করা। দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাংবাদিকরা ডিজিটাল সাংবাদিকতার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করেছেন, যা ভবিষ্যতে যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি আরো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে সহায়ক হবে।”

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। ৩৫ জন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এ প্রশিক্ষণে মোবাইল সেটিংস, মোবাইল শুটিং, ডিজিটাল সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেকিংসহ আরো অনেক বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন দক্ষ ব্যক্তিবর্গ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ কত প আইব

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যামনেস্টি

গুম–নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে সেনাবাহিনীর ১৫ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের আমলে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

আজ বুধবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়ার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করার এটিই প্রথম উদাহরণ। ভুক্তভোগীদের জন্য জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

এই বিচারিক প্রক্রিয়াজুড়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ড পুরোপুরি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এর মধ্যে রয়েছে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ও সুষ্ঠু বিচারের নিশ্চয়তা বিধান করা, বিচার কার্যক্রম বেসামরিক আদালতে পরিচালনা করা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া থেকে বিরত থাকা।

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ আসামির বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের মধ্যে কর্মরত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আরও পড়ুন১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের১৩ ঘণ্টা আগে

এ ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক-বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১।

মামলা তিনটির মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।

আরও পড়ুনসাবেক-বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামিকে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ৮ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ