বারবার সতর্ক করার পরও অনেকে এখনো এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন, যা অনুমান করা অত্যন্ত সহজ। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পিক এআই গত ছয় বছরে ফাঁস হওয়া ১০ কোটি পাসওয়ার্ড বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা পাসওয়ার্ডের তথ্য প্রকাশ করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছরের মতো এ বছরও সবচেয়ে বেশি ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ডের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ‘123456’। ৬৬ লাখ ২১ হাজার ৯৩৩ বার ফাঁস হয়েছে পাসওয়ার্ডটি। সবচেয়ে বেশি ফাঁস হওয়া অন্য পাসওয়ার্ডগুলো হলো যথাক্রমে ‘123456789’, ‘111111’, ‘Password’, ‘qwerty’, ‘abc123’, ‘12345678’, ‘password1’, ‘1234567’ ও ‘123123’।

গবেষকদের তথ্যমতে, সাইবার অপরাধীরা মূলত সাধারণ পাসওয়ার্ড ও ডিকশনারি অ্যাটাক কৌশল ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে প্রবেশের চেষ্টা করে। ফলে অনুমেয় বা ধারাবাহিক প্যাটার্নের পাসওয়ার্ডগুলো সহজেই ভাঙা যায়। গবেষণায় ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে ঘটে যাওয়া তথ্য ফাঁসের ঘটনায় পাওয়া পাসওয়ার্ডগুলো বিশ্লেষণ করে সেগুলোকে নাম, সংখ্যা, সাল, ফুটবল দল, খেলা ও বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। নামযুক্ত পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে ‘Michael’, এই পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৬৭৮ বার। এরপর রয়েছে Daniel, Ashley, Jessica ও Charlie।

আরও পড়ুনঅনলাইনে নিরাপদ থাকতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন যেভাবে২১ আগস্ট ২০২৪

ফুটবল দলের নামের মধ্যে লিভারপুল, চেলসি, বার্সেলোনা, আর্সেনাল ও জুভেন্টাস নামের পাসওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি বার ফাঁস হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে পিক এআইয়ের বিপণনের প্রধান মালটে ল্যান্ডভেয়ার বলেন, ‘যদি কারও পাসওয়ার্ডে এসব নাম বা সংখ্যা থাকে, তা অবিলম্বে পরিবর্তন করা উচিত। একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড অন্তত ১২ অক্ষরের হওয়া প্রয়োজন। বড় ও ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্ন (যেমন .

, !, @, #, $, %) মিশিয়ে তৈরি পাসওয়ার্ড তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি নিরাপদ। নাম, জন্মতারিখ, পরিবারের সদস্যদের তথ্য, পোষা প্রাণী বা শখের মতো ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের জন্য সহজলভ্য। তাই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাসওয়ার্ডে ব্যবহার না করাই নিরাপদ।’

প্রতিটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন ল্যান্ডভেয়ার। তিনি জানান, একটি প্ল্যাটফর্মের পাসওয়ার্ড ফাঁস হলে হ্যাকাররা সেটি অন্য সব অ্যাকাউন্টেও চেষ্টা করবে। জটিল ও দীর্ঘ পাসওয়ার্ড মনে রাখা কঠিন হলে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ধরনের সফটওয়্যার নিরাপদভাবে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে এবং প্রয়োজনে নতুন ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করে দেয়।

সূত্র: ডেইলি মেইল

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প সওয় র ড ব ব যবহ র কর সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি-জামায়াতের আজকের এই ভেদাভেদের মূল কারণ হচ্ছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব: মজিবুর রহমান

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ১৫ বছর ধরে একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, জেল-জুলুম সহ্য করেছে, অসংখ্য কর্মী আহত ও পঙ্গু হয়েছেন, এমনকি অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন। অথচ আজ বিএনপি–জামায়াতের মধ্যে বিভেদ ও ঘৃণার দেয়াল কেন? বিএনপি–জামায়াতের আজকের এই ভেদাভেদের মূল কারণ হচ্ছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। ক্ষমতাকে কেন্দ্র করেই তারা আজ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে।

সোমবার রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে ‘দক্ষ জনশক্তি, দেশ গঠনের মূল ভিত্তি’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)।

মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এক কঠিন রাজনৈতিক সময় অতিক্রম করছি। বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে যে ক্ষমতার লড়াই চলছে, তা বন্ধ করে ঐক্যের পথে আসতে হবে। আগামী পাঁচ বছর বিএনপি ও জামায়াতকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংসদে ও সরকারে থাকার জন্য আমি আহ্বান জানাই। হাসিনা যদি পালিয়ে না গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতেন, তাহলে বিএনপি-জামায়াত ঐক্যবদ্ধভাবেই নির্বাচনে অংশ নিত। এখন একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ না করে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতিতে ফেরার সময় এসেছে।’

রাজনৈতিক দলের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জনগণ এখন রাজনৈতিক দলের ইশতেহার বিশ্বাস করে না। কারণ, আমরা প্রতিশ্রুতি দিই, কিন্তু তা রাখি না। এ জন্য আমাদের নেতাদের মধ্যে সততা, জবাবদিহি ও আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইডিইবির অন্তর্বর্তী কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. কবীর হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ