মোহাম্মদপুরে সেনা অভিযানে ‘এক্সেল বাবু’সহ গ্রেপ্তার ৪
Published: 27th, May 2025 GMT
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী ফরিদ আহমেদ বাবু ওরফে এক্সেল বাবুসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বুড়িগঙ্গা ফিলিং স্টেশন এলাকায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর বছিলা সেনা ক্যাম্প বিশেষ অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ফরিদ আহমেদ বাবু ওরফে এক্সেল বাবুসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং ভূমি দখলের মতো গুরুতর অভিযোগে ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যমতে, এক্সেল বাবু কিশোর গ্যাং ‘টিন এজ টর্নেডো, ডার্ক স্ট্রাইকার্স, রেড ভলক্যানো’ এবং কবজি কাটা আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ারের গডফাদার হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দিতে সবাইকে অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এক স ল ব ব
এছাড়াও পড়ুন:
সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ, ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামের এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চারজনের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২)। এর মধ্যে তারেক রহমান রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাকি দুই আসামিকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে বলে পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে তাঁদের নামপরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।
গত বুধবার বিকেলের ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আজ ডিএমপি জানায়, মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর লাল চাঁদকে হত্যার ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের ধরতে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
এই হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে ডিএমপি বলেছে, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা সংঘটিত হয়। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব কর্তৃক আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।